গাফিলতির অভিযোগ উঠল বিদ্যুৎ দফতরের খানাকুল শাখার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের প্রথম ধাপ— বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছিলেন বড়দিগরুই গ্রামের উত্তমকুমার মাইতি। নির্ধারিত টাকাও জমা দিয়েছিলেন। তারপরেও মেলেনি সংযোগ।
দ্বিতীয় ধাপ— উত্তমকুমারবাবুর বাড়িতে এক দিন এল ছ’মাসের বিদ্যুতের বিল। হতবাক উত্তমবাবু সেই ভুতুড়ে বিল নিয়ে ছুটে গেলেন খানাকুলের বিদ্যুৎ দফতরে।
তৃতীয় ধাপ— উত্তমবাবুর অভিযোগের পরে ভুল সংশোধন তো হলই না। উপরন্তু ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে না এই হুমকি দিয়ে জরিমানা-সহ বিল মেটাতে বাধ্য করানো হল তাঁকে। বিষয়টি জানিয়ে আরামবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন উত্তমবাবু। অভিযোগ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উত্তমবাবুর কথায়, “আমি প্রায় এক বছর আগে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছিলাম। দফতরের তদন্ত সাপেক্ষে কোটেশন অনুযায়ী টাকা জমা দিই। সংযোগ পাইনি।’’ তাঁর অভিযোগ, “প্রথমে গত নভেম্বর মাস থেকে তিন মাসের বিল পাঠানো হল। অভিযোগ করার পরে স্টেশন ম্যানেজার বৃন্দাবন কর্মকার বিষয়টি দেখবে বলে জানান। ফের গত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পাঠানো হয়েছে। এ বার অফিসে গেলে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, আগে বিল জমা করুন। তারপর কথা হবে। না হলে সংযোগ পাবেনই না। বিষয়টি আমি বিদ্যুৎমন্ত্রী-সহ প্রশাসনের উপর মহলে জানিয়েছি।” বিষয়টি বাইরে জানালে মারধরের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করে স্টেশন ম্যানেজার বৃন্দাবনবাবু বলেন, “ভুলের কথা আগেই স্বীকার করা হয়েছে। সংশোধন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে।”
আরামবাগ ডিভিশনের ম্যানেজার চন্দ্রশেখর সেনগুপ্ত বলেন, “এ রকম বড় ত্রুটি হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে। ওই ব্যক্তি যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ পান, সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |