|
|
|
|
আম জনতাকেই এড়িয়ে গেলেন শিন্দে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
সরকার ঘোষণা করেছে এলাকার উন্নয়নের কথা। কিন্তু বাস্তবে তা চোখে দেখা যাচ্ছে না। এমন অভিযোগ জানাতেই আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন এলাকার মানুষ। কিন্তু মন্ত্রী কিংবা তাঁর অফিসাররা সরযু পুলিশ ক্যাম্পে রুদ্ধদ্বার বৈঠক সেরেই বেরিয়ে গেলেন। দেখা করলেন না এলাকার লোকজনের সঙ্গে।
লাতেহারের গারু ব্লকের সরযু এলাকা এক সময় মাওবাদীদের গড় ছিল। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর পুলিশ সেই জায়গার দখল নিয়েছে। হারানো গড় ফিরে পেতে মরিয়া মাওবাদীরা লাতেহারের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাশকতার ঘটনা ঘটাচ্ছে হামেশাই। মূলত সেই কারণেই লাতেহারে উন্নয়নের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। আজ শিন্দে সেখানে যান। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা। সরযু ক্যাম্পে মিনিট চল্লিশেক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সরযু ডেভলপমেন্ট অ্যাকশন প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নের কাজ হওয়ার কথা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই প্রকল্পের কাজ এ পর্যন্ত চোখে দেখা যাচ্ছে না। গ্রামবাসীদের দাবি, সরকার প্রকল্প হাতে নিলেও মাও জঙ্গিদের লেভির উৎপাতের ভয়ে ঠিকাদার এলাকায় কাজ করতে চাইছে না। সেই সমস্যার কথাই আজ তাঁরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানাতে চেয়েছিলেন। জনৈক গ্রামবাসী, নিজামুদ্দিন আনসারির কথায়, “সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী বসিয়ে রেখেছে। কিন্তু তাঁরা এলাকার উন্নয়নের কাজে সাহায্য করতে পারছে না। বড় প্রকল্প তো বটেই, ছোট প্রকল্পের কাজও আটকে রয়েছে।”
লাতেহার জেলা পুলিশ জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এলাকার লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। ফলে মন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মীরাই গ্রামের লোকজনকে আটকে দেন। সরযু পুলিশ ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে নকশালদের আন্দোলন নীতিহীন। কেন্দ্রীয় সরকার তা দমন করবেই। এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে ভাবে লড়াই করছে তা অবশ্যই প্রশংসা দাবি করে।”
আজ সকালে রাঁচিতে নেমেই হেলিকপ্টারে লাতেহার যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। দুপুরে রাঁচিতে ফিরে আসেন তিনি। রাজভবনে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদ-সহ রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেড় ঘন্টা বৈঠক করেন। বৈঠক সেরে বেরোনর সময় শিন্দে বলেন, “গারু, বারোয়াড়ি ও লাতেহারে সরযু ডেভলপমেন্ট অ্যাকশন প্রকল্প দ্রুত শুরু হবে।” আগামী জুলাই মাসে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ রাজ্যে নির্বাচন হবে, নাকি ফের রাষ্ট্রপতি শাসনই বলবৎ হবে তাও জানতে চাওয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে। তিনি বলেন, “অনেক ধরনের প্রস্তাবই রয়েছে। বিবেচনা করে দেখতে হবে। আজ মূলত পিছিয়ে পড়া জঙ্গি অধ্যুষিত লাতেহারে যাওয়ার জন্যই এসেছিলাম।’’ |
|
|
|
|
|