|
|
|
|
জামিয়া মিলিয়ায় ছাত্রীদের ভিড়ে মিশে গেলেন সনিয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের স্মৃতি উস্কে দিয়ে মহিলাদের সুরক্ষায় সরকার ও পুলিশের পাশাপাশি নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। এ দিন দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা হস্টেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে এসে সনিয়া বলেন, “নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকার বা পুলিশের দায়িত্ব পালন যথেষ্ট নয়। সার্বিক ভাবে সমাজের মানসিকতা বদলের প্রয়োজন রয়েছে। এ জন্য নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।”
এ দিন অনুষ্ঠানের শেষে নিরাপত্তা রক্ষীদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের ভিড়ে মিশে যান সনিয়া। তাঁদের সমস্যা নিয়ে খোঁজখবর করেন। প্রতিশ্রুতি দেন সেগুলি মেটানোর। সনিয়া বলেন, “আমি এ ধরনের অনুষ্ঠানেই আসতে চাই। কিন্তু সুযোগ মেলে না। ছাত্র-ছাত্রীরা যে ভাবে ক্লাস ফাঁকি দিতে পারো, আমি তো তা পারি না!” |
|
ছবি: প্রেম সিংহ। |
দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে প্রায় ছয় মাস। ঘটনার মূল অভিযুক্তেরা গ্রেফতার হয়েছে। শুরু হয়েছে বিচার। সরকার যে মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা বোঝাতে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইনেও পরিবর্তন এনেছে কেন্দ্র। কিন্তু তা সত্ত্বেও ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনা যে ঘটেই চলেছে, তা আজ কার্যত স্বীকার করে নেন কংগ্রেস সভানেত্রী। সনিয়ার কথায়, “সবার আগে সমাজের মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। কেন না মহিলারা শুধু পথেই নয়, নিজেদের পরিবারের মধ্যেও নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন। এটা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আসলে আমরা মহিলাদের জন্য এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি, যেখানে কোনও মহিলা নিগ্রহের শিকার হবে না। একজন নাগরিক হিসাবে আমার কাছে ওই ব্যর্থতা অত্যন্ত দুঃখের।”
ছাত্রীদের থাকার জায়গার সমস্যার কথা জানিয়ে মাস ছয়েক আগে সনিয়া গাঁধীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজিব জঙ্গ। তাঁর কথায়, “সে সময়েই সনিয়া গাঁধী বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন। তার ফলেই আজ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে।” সম্প্রতি জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২৬ কোটি টাকা অনুদান মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। তা থেকেই পঞ্চম ছাত্রীনিবাসটি নির্মাণ গড়া হচ্ছে। সেখানে ৪০০ জন্য ছাত্রী থাকতে পারবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|