গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মহম্মদ মোক্তারের জামিনের আবেদন মঙ্গলবার ফের খারিজ হয়ে গেল আলিপুর আদালতে। এ দিন আলিপুরের জেলা দায়রা জজের আদালতে ভারপ্রাপ্ত বিচারক আজেয় মোতিলালের এজলাসে ওই মামলার কেস ডায়েরি পেশ করে পুলিশ।
গত রবিবার এই মামলার চার্জশিট জমা পড়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি গার্ডেনরিচের একটি কলেজে ছাত্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র হাঙ্গামা, হত্যার চেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে পুলিশের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা রুজু হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী তুলসী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই মামলার আর এক অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাকে এই আদালতই জামিন দিয়েছে। মোক্তারের বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাই তাঁকেও জামিন দেওয়া হোক।” বক্তব্যের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী শ্যামাদাস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই মামলায় গত রবিবার পুলিশ চার্জশিট দিয়েছে। কেস ডায়েরিতেও মোক্তারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া সঙ্গত হবে না।”
অন্য দিকে, মাঠপুকুর-কাণ্ডে তৃণমূল নেতা শম্ভুনাথ কাওয়ের জামিনের আবেদন মঙ্গলবার আদালতে ফের খারিজ হয়ে গেল। এ দিন আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত শম্ভুনাথ কাওকে ২৮ মে পর্যন্ত জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযুক্তের আইনজীবী মনোজকুমার ঘোষ ও মৌসুমী দাস বলেন, “তাঁদের মক্কেল এক জন জনপ্রতিনিধি। ৪০ দিন ধরে তিনি হাজতে থাকায় উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। তাই তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হোক।” সরকারি আইনজীবী শক্তিপদ ভট্টাচার্য বলেন, “অধীর মাইতি নামে এক তৃণমূল নেতাকে খুনের ঘটনায় জামিন চাওয়া হচ্ছে। শম্ভুনাথ যা করেছেন তা কোনও জনপ্রতিনিধির কাজ নয়। পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। জেল হাজতে গিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক। তাঁর জামিন না দেওয়াই সঙ্গত হবে।”
এ দিকে, তিলজলায় ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে ধৃত কংগ্রেস নেতা চুন্নু মিঞার জামিনের আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করল আদালত। এ দিন আলিপুরের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে চুন্নুকে তোলা হলে বিচারক ২৪ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযোগকারীর আইনজীবী বলেন, “টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না দেওয়ার মতো আরও ৭টি মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।” এ দিকে, ধৃত চুন্নু মিঞাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোমবার রাতে তাঁর সাপগাছির অফিসে অভিযান চালায় তিলজলা থানার পুলিশ। অফিসটির সামনে থেকে অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে ১৭টি বোমা, ৫টি বন্দুক এবং ৩৫টি কার্তুজ। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
|