রিজেন্ট পার্কের পরে সল্টলেকের সুকান্তনগর। রিজেন্ট পার্কে উদ্ধার করা হয়েছিল রক্তাক্ত বৃদ্ধ দম্পতিকে। আর মঙ্গলবার সকালে সুকান্তনগরের একটি বাড়ি থেকে বৃদ্ধা মা এবং তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করা হয় রক্তাক্ত অবস্থায়।
পুলিশ জানায়, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা রাজকৌশিক নারায়ণ চৌধুরী (৪৫) নামে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর মা উমা চৌধুরী (৭৫) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কয়েক দিন আগে রিজেন্ট পার্কের একটি বাড়ি থেকে একই ভাবে এক রক্তাক্ত বৃদ্ধ দম্পতিকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে বৃদ্ধকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁর স্ত্রীকে।
কী হয়েছিল সুকান্তনগরে?
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, সুকান্তনগরের ‘ও’ ব্লকে উমাদেবী তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন। তাঁর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। বড় ছেলে রাজকৌশিকের স্থায়ী রোজগার ছিল না। ছোট ছেলে গুড্ডু পেশায় গাড়িচালক। তিনি বিবাহিত। পুলিশ পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে, উমাদেবী এবং রাজকৌশিক মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। অভিযোগ, মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন রাজকৌশিক। এই নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হত। পুলিশ জানায়, এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ উমাদেবী এবং রাজকৌশিককে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পাড়ার লোকেরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দেখে, মা ও ছেলের হাতের শিরা কাটা। দু’জনেই একতলার একটি ঘরের মেঝেয় পড়ে ছিলেন। ঘটনার সময় উমাদেবীর ছোট ছেলে গুড্ডু এবং তাঁর স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না।
কী ভাবে রাজকৌশিকের মৃত্যু হল, উমাদেবীই বা কী করে জখম হলেন, রাত পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলতে পারেনি পুলিশ। তবে বিধাননগর কমিশনারেটের একটি সূত্র বলছে, উমাদেবী নিজেই সম্ভবত ছেলের হাতের শিরা কেটে দেন এবং পরে নিজের হাতেরও শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরেই দক্ষিণ শহরতলির উলুডাঙা ঘাট থেকে নিখোঁজ এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রের নাম তৌশিক রায় (১৭)। রবিবার পানিহাটির বাসিন্দা তৌশিক মা ও বোনের সঙ্গে মহেশতলার বাটানগরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায়। দুপুরে মা ও বোনের সঙ্গে স্নান করতে উলুডাঙা ঘাটে গিয়েছিল সে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, সাঁতার জানত না তৌশিক। ঘাটের সিঁড়িতে বসে নদীতে পা ডুবিয়ে বসে ছিল সে। তার পরে কোনও ভাবে নদীতে পড়ে যায়। তার দেহে কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, নদীতে পড়ে যাওয়ার পরে পাথরে ধাক্কা খেয়ে সে আরও তলিয়ে যায়। |