শহরের দু’প্রান্তে পড়ে থাকা দু’টি বাসস্ট্যান্ড চালু হবে কবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা মিটল না এখনও। আপাতত জুনের শুরুতে সেগুলি চালু করার পরিকল্পনা থাকলেও ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেলে তা ফের ঘেঁটে যাবে। মঙ্গলবার পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “১ জুন ওই দু’টি বাসস্ট্যান্ড চালু করা যাবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব হবে নয়।”
মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের টাউনহলে জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বাস মালিক ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক তথা বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “অনেক দিন ধরেই নবাবহাট ও আলিশা মৌজায় বাসস্ট্যান্ড দু’টি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলিকে চালু করার চেষ্টা করছি। এর মধ্যে নবাবহাটের বাসস্ট্যান্ডটি বিগত সরকারের আমলে তৈরি হয়ে পড়ে ছিল। ওরা সেটা চালু করতে পারেনি। আগামী ১ জুন দু’টি বাসস্ট্যান্ড চালুর সম্ভাব্য দিন হিসেবে স্থির করা হয়েছে। তবে যদি তার মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়ে যায় তাহলে বাসস্ট্যান্ড দুটি চালু করার দিন পিছোবে।” |
বাসস্ট্যান্ড দু’টি চালুর ব্যাপারে বামেরাও সহযোগিতা করেছে বলে এ দিন সভায় জানিয়েছেন বিধায়ক। রবিরঞ্জনবাবু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই জোড়া বাসস্ট্যান্ড নিয়ে জটিলতা চলছিল। শেষে গত ৪ মে মহাকরণে পরিবহন মন্ত্রী মদন মিত্রের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসন, আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর, পুলিশের আধিকারিক ও বাসমালিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাসস্ট্যান্ড দু’টি চালু করার সিদ্ধান্ত হয়।” জেলাশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা বলেন, “অনেক আলাপ-আলোচনার পরে সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে স্থির হয়েছে, যে সব বাস শহরের ৫০ কিলোমিটার পরিধির ভেতর চলাচল করে একমাত্র সেগুলিই শহরের ভিতরে ঢুকতে পারবে।”
এ দিনের সভায় আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকারিক আশিস সাহা বলেন, “শহরের যানজট কমাতে তিনকোনিয়া বাসস্ট্যান্ড সরাতেই হবে। তবে দু’টি বাসস্ট্যান্ডের মধ্যে চলাচলকারী যত টাউন সার্ভিস বাস দরকার, তা আমাদের হাতে নেই। তাই আমরা ওই ৫০ কিলোমিটার পরিধিতে চলাচলকারী বাসগুলিকে ঢুকতে দিচ্ছি শহরে। দুর্গাপুর-আসানসোলের দিকের বাস নবাবহাট ও হুগলি বা জেলার দক্ষিণ দামোদরের দিকে চলাচল করা বাসগুলি বামচণ্ডীপুর থেকে ছাড়বে।” জেলায় প্রায় ৮০০ বাস চলাচল করে। তার মধ্যে প্রায় ৬০০ বাস প্রতি দিনই বর্ধমান শহরে ঢোকে। তার জেরেই যানজট হয়। কিন্তু সুরাহার কোনও স্পষ্ট আশ্বাস আপাতত মন্ত্রী-কর্তাদের কাছে নেই। |