সংশয় ছিল। তবে সমস্যা মিটে যাবে, এই আশাও ছিল। মঙ্গলবার রাজ্য যুবকল্যাণ দফতর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার পরে তাই খানিকটা স্বস্তিতে দুর্গাপুরের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র অমিক মণ্ডল ও তার পরিবার। ২৩-২৭ মে সান দিয়েগোয় ‘নাসা স্পেস ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্স’-এ যোগ দিতে যেতে আর বিশেষ সমস্যা হবে না, এমনই মনে করছেন তাঁরা। |
বিশ্বের সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য প্রতি বছর ‘নাসা স্পেস সেটলমেন্ট কনটেস্ট’ আয়োজন করে থাকে ন্যাশানাল স্পেস সোসাইটি এবং নাসা ‘এএমইএস রিসার্চ সেন্টার’। এ বছর ওই প্রতিযোগিতার অষ্টম শ্রেণি বিভাগে তৃতীয় হয়েছে হেমশিলা মডেল স্কুলের অমিক। পৃথিবীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ না রেখেই কোনও মহাকাশযানে কী ভাবে মানুষের বসবাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করা যেতে পারে, নাসা-র এই প্রশ্নে ১৬ পাতার উত্তর পাঠিয়েছিল সে। উত্তর পছন্দ হওয়ায় সান দিয়েগোয় বিশ্বের সেরা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সঙ্গে পরিচয়ের সুযোগ এসেছে অমিকের সামনে। কিন্তু সেখানে যাতায়াত ও অন্য নানা খরচের পুরোটা জোগাড় করা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন অমিকের বাবা, ডিএসপি-র কর্মী অসিতবরণ মণ্ডল।
রাজ্য যুবকল্যাণ দফতর সূত্রে জানা যায়, এই খবর জানতে পেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ দিন যুবকল্যাণ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মহাকরণে অসিতবরণবাবুর হাতে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। অমিকের পাসপোর্টের ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। অসিতবরণবাবু বলেন, “আশা করি এর পরে ছেলেকে সান দিয়েগো পাঠাতে আর বিশেষ অসুবিধে হবে না।”
|