শহরের সেবক মোড়ের কাছে একটি হোটেলে নির্মাণ কাজ নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর পুরসভার তরফে খতিয়ে দেখে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল। যাঁরা তদন্তে যান সেই আধিকারিকদের তরফে হোটেলের ছাদে অবৈধ ভাবে ছাউনি তৈরির কাজ হচ্ছিল বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে পুরসভার সূত্রের খবর। বিল্ডিং বিভাগ থেকে এ দিনই নোটিস দিয়ে কর্তৃপক্ষকে তিন দিনের মধ্যে ওই অবৈধ নির্মাণ কাজ ভেঙে দিতে বলা হয়েছে। বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তিনি বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ছাদে অবৈধ নির্মাণ কাজ ভাঙতেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।” এর আগেও ওই হোটেলের বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণে র অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে হোটেলের মালিক বলে যাঁরা দাবি করেন তাদের তরফে বলা হয়েছে, পুরসভার তরফে যে সমস্ত নির্মাণ ভাঙতে বলা হবে তা তাঁরা ভেঙে দেবেন। তাঁদের দাবি, “পুরসভার কাছে ছাদে জল পড়ে বলে ছাউনি তৈরির জন্য আবেদন করা হয়েছিল।” তবে তা অনুমোদন পাওয়ার আগে কী ভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে তা নিয়ে কোনও সদুত্তর নির্মাতারা দিতে পারেননি। ওই হোটেল ভবনের একাংশে যে সমস্ত পুরনো ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা অবৈধ নির্মাণ কাজ নিয়ে বারবার অভিযোগ তুলছেন। তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই গোলমালও চলছে। এ দিনও নীরজবাবুর তরফে পুর কমিশনারের কাছে ফের ওই ভবনের চার তলার ছাদে অবৈধ নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পুরনো খবর: সেবক রোডের হোটেলে অবৈধ নির্মাণ, অভিযোগ |
অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের অধীনে ‘অগ্নি নির্বাপক সহায়ক’ পদে অস্থায়ী চুক্তি ভিত্তিক পদে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন কর্মপ্রার্থীরা। জলপাইগুড়ি জেলায় এই অনিয়ম হয়েছে বলে এ দিন অভিযোগ জানান তারা। সোমবার শিলিগুড়িতে এই অভিযোগ তুলে সাংবাদিক বৈঠক করেন কর্মপ্রাথীরা। ৭০ টি শূন্যপদের জন্য প্রার্থী চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। জেলার প্রার্থীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু তালিকায় দার্জিলিং জেলার বেশ কিছু প্রার্থীর নাম রয়েছে বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের এসডিও তথা অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের উপ নিয়ন্ত্রক সাগর চক্রবর্তী বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সব জানিয়েছি।” জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র জানান, তিনিও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু, ওই দফতর থেকে তাঁকে কিছু জানানো হয়নি বলে জেলাশাসক জানিয়েছেন। দমকলের উত্তরবঙ্গের মুখ্য নির্দেশক গৌরপ্রসাদ ঘোষ বলেন, “আমাদের কাছে যে তালিকা এসেছে, সেই অনুযায়ীই নিয়োগ হয়েছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না।”
|
নির্মীয়মাণ লেভেল ক্রসিং পেরোতে গিয়ে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হল বরযাত্রী বোঝাই বাসের। সোমবার রাতে কোচবিহারের বাণেশ্বরে কাছে বোকালীর মঠে এই দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানান কোচবিহার সদরের মহকুমাশাসক বিকাশ সাহা। জখম অন্তত পঞ্চাশ জন যাত্রী। ৪০ জনকে কোচবিহার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, ফালাকাটা থেকে বোকালীর মঠের গ্রামে বিয়েবাড়িতে যাচ্ছিল বাসটি। বরের ছোট গাড়ি লেভেল ক্রসিং পার হয়ে যায়। বাসটি যখন পেরোচ্ছিল তখন অসমগামী নিউ কোচবিহার-কামাখ্যা এক্সপ্রেস এসে সেটিকে ধাক্কা মারে। লেভেল ক্রসিংটি চালু না হওয়ায় সেটিতে কোনও রক্ষীও ছিলেন না। ট্রেনটি প্রায় ৩০০ মিটার ঠেলে নিয়ে যায় বাসটিকে। শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে এলাকাবাসী উদ্ধারকাজ শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক পরে কোচবিহার থেকে পৌঁছয় পুলিশ ও দমকল। যান নাটাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষও। জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “অনেকে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে।”
|
মুখ্যমন্ত্রী সারদা সহ অন্য লগ্নিকারী সংস্থার কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে বিধানসভায় যে বিল এনেছেন তা লোক দেখানো বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের বিধানসভার পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব। এই বিল ভারতের সংবিধানের বিরোধী বলেও সোমবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়া। প্রতিনিধি সম্মেলনে তারা সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত দাবি ও তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোট চাইছে না বলে প্রচার করেন। লাগাতার এই ধরনের প্রচার চলবে প্রতিটি ব্লকেই বলে জানান দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি মাটিগাড়া নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকার। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বক্তব্যের কারণ ব্যখ্যা করতে গিয়ে সোহরাব বলেন, “বিলে যে আইনে সাজা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে তা সংবিধান অনুযায়ী সম্ভব নয়। এ ছাড়া সংবিধানের ২২৬ ধারায় হাইকোর্টে যেতে পারে। কিন্তু বিলে হাইকোর্টে যেতে পারবে না বলে বলা হয়েছে।” এদিনও সিবিআই তদন্ত ছাড়া প্রকৃত সত্য ও তৃণমূলের কারা জড়িত আছে তা বাইরে আসবে না বলে মনে করেন কংগ্রেসের প্রবীণ এই নেতা। |