দার্জিলিংয়ে ফের আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে। আজ, মঙ্গলবার দুপুরে বাগডোগরা পৌঁছে বিকেলের মধ্যে দার্জিলিং পাহাড়ে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। অভ্যর্থনা জানাতে গুরুঙ্গ জিএলপি-র চিফ অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল রমেশ আলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছেন বাগডোগরা বিমানবন্দরে।
সুকনা থেকে দার্জিলিং পৌঁছনোর রাস্তায় চারটি সুদৃশ্য তোরণও তৈরি করিয়েছেন গুরুঙ্গ। প্রতিটি তোরণে মুখ্যমন্ত্রীকে ফুল-মালা-‘খাদা’য় স্বাগত জানানোর খুঁটিনাটি দেখছেন নারী মোর্চা প্রধান তথা গুরুঙ্গের স্ত্রী আশাদেবী। রাজ্যের তরফেও সফরে পাহাড়ে নানা প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো, কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষার সুযোগ তৈরির রূপরেখা ঘোষণার প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ।
বুধবার বেলা ১২টায় দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে সরকারি অতিথি নিবাসে জিটিএ চিফ বিমল গুরুঙ্গের সঙ্গে একান্ত বৈঠক হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। ওই বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ সভা যেখানে হয়, সেই গোর্খা রঙ্গমঞ্চ ভবনে যাবেন। জিটিএ সভার সদস্যদের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলবেন। জিটিএ-এর উদ্যোগে আয়োজিত সভায় দলের আমন্ত্রিতরাই শুধু ঢুকতে পারবেন।
পর দিন, বৃহস্পতিবার দার্জিলিঙের লেবং কার্ট রোডে ভগিনী নিবেদিতার স্মৃতি বিজড়িত ‘রায় ভিলা’য় যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। থাকবেন জিটিএ চিফ গুরুঙ্গ, বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুহিতানন্দ।
জিটিএ সূত্রের খবর, এক বিঘের উপরে থাকা ৪ তলা বাড়িতে জিএলপি সদস্যরা থাকেন। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মসার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে সেই প্রতিষ্ঠানকে ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হিসেবে গড়ার প্রস্তাব রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ অনুরাগীদের প্রস্তাবিত ট্রাস্টের তরফে জিটিএ-কে দেওয়া হয়েছে। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি জানান, তাঁরাও ‘রায় ভিলা’য় উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ার ব্যাপারে সবরকম সাহায্য করতে আগ্রহী। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেবের সংযোজন, “পাহাড়ি ভাইবোনেদের উচ্চ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মান বাড়াতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী। কর্মসংস্থানের সুযোগও দ্রুত বাড়াতে চাইছেন। যাতে দার্জিলিঙের হাসিটা চিরকাল ধরে রাখা যায়।” |