তিন দিনে তিন কোটি টাকার উপরে অর্থ লগ্নিকারী সংস্থায় রাখার অভিযোগ জমা পড়ল শিলিগুড়ির হিমাঞ্চল বিহারে কমিশনের অফিসে। উত্তরের ছয় জেলা বাদে বিহার ও অসম থেকে প্রচুর অভিযোগ পড়েছে কমিশনে।
এ দিন হিলির এক এজেন্ট তথা আমানতকারী সুকান্ত সরকার ৪৩ লক্ষ টাকা সারদা’য় রাখার অভিযোগ জমা করেন। তিনি বলেন, “বেশি টাকার আশায় সারদা’য় যোগ দিয়েছিলাম। নিজের যা টাকা ছিল সব রেখেছি। এখন সরকারের উপরে ভরসা ছাড়া কিছু করার নেই। কিছু জমি আছে বলে কাজ করে সংসার চালাতে পারছি। আমানতকারীরা চাপ দিচ্ছে। টাকা কী ভাবে শোধ করব ভাবতে হচ্ছে।”
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ১৪৭৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। দার্জিলিং থেকে ৩৬৩টি, জলপাইগুড়ি থেকে ৩১৯, কোচবিহার থেকে ৩৬টি, উত্তর দিনাজপুর ১০০, দক্ষিণ দিনাজপুর ৩৬১ এবং মালদহ থেকে ২৫৬টি অভিযোগ জমা পড়ে। এ ছাড়া বিহার ও অসম থেকে ৪৪টি অভিযোগ জমা পড়ে। এদিন হিমাঞ্চল বিহারে শ্যামল সেন কমিশনের অফিসের সামনে পথনাটিকা নিয়ে হাজির হয় শিলিগুড়ির এক নাট্যগাষ্ঠী। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের উদ্যোগে তারা ওই পথনাটিকা করেন। ‘আয়ারাম গয়ারাম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে ৪৫ মিনিটের ওই পথনাটিকায় কী ভাবে বেকার যুবক প্রচুর টাকা রোজগারের স্বপ্ন নিয়ে অথর্লগ্নিকারী সংস্থায় কাজ নিচ্ছেন। নিজেকে বাজি রেখে বাসিন্দাদের কাছে টাকা তুলছে। শেষে মালিকের ফেরার হয়ে যাওয়া ও আমানতকারীরা সর্বস্ব খুঁইয়ে পথে বসছেন। এজেন্টদের পালিয়ে বেড়ানো, তা তুলে ধরেছে পাঁচজনের ওই নাট্য দল। ওই নাটক ঘিরে আমানতকারী ও এজেন্টদের উৎসাহ ছিল। শিলিগুড়ির উপভোক্তা কল্যাণ আধিকারিক দেবাশিস মণ্ডল জানান, পথনাটিকার পাশাপাশি বাউল গান, ভাওইয়া গান এবং কথ বলা পুতুলের অনুষ্ঠানে তারা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালাবেন। তাঁর দাবি, “আগেও পথনাটিকা করেছি। তখন বিষয়টিকে কেউ গুরুত্ব দেয়নি।” |