রাজ্যের ২৭টি অর্থলগ্নি সংস্থার ৭৩টি কোম্পানির সম্পত্তি ও জমি কেনাবেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার। ‘ডাইরেক্টরেট অফ রেজিস্ট্রেশন অ্যন্ড স্ট্যাম্প রেভিনিউ’ দফতরের অতিরিক্ত সচিব (অর্থ দফতর ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশেন অ্যান্ড কমিশনার স্ট্যাম্প রেভিনিউ) বি গঙ্গোপাধ্যায় সোমবার কলকাতা-সহ রাজ্যের প্রতিটি জেলার রেজিস্ট্রারকে এই নির্দেশ পাঠান। ১০ মে জারি ওই নির্দেশে যে সব সংস্থার সম্পত্তি ও জমি কেনাবেচার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তার একটি তালিকাও রাজ্যের সমস্ত জেলার ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্টার দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ওই সমস্ত অর্থলগ্নি সংস্থা জমি কিংবা সম্পত্তি বিক্রির জন্য আবেদন করলে তা খারিজ হবে। ১০ মে নির্দেশ জারি হলেও শনিবার ও রবিবার ছুটি থাকায় তা জেলায় পৌঁছয় সোমবার। |
লগ্নি সংস্থা নিয়ে সচেতনতায় সোমবার পথনাটিকা শিলিগুড়ির
হিমাঞ্চল বিহারে কমিশনের অফিসের সামনে।—নিজস্ব চিত্র। |
সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন গ্রেফতারের পরে রাজ্যের অর্থ দফতর হাইকোর্টের নির্দেশে ৬ মে অর্থলগ্নি সংস্থার জমি কেনাবেচা ও হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওই ঘটনার পরে অন্য অর্থলগ্নি সংস্থাগুলি গোপনে তাঁদের জমি ও সম্পত্তি বিক্রি করতে শুরু করে বলে অভিযোগ। নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। পরে অন্য অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির কর্মকর্তারা যেন জমি বিক্রি করে গা ঢাকা দিতে না পারেন সেজন্য অর্থ দফতর ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়। ১০ মে ৭৩ সংস্থার সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। রাজ্যে অর্থ দফতরের পাঠানো অর্থলগ্নি সংস্থার তালিকায় রোজ ভ্যালির ১৩টি কোম্পানি, ভিভজিওর অ্যলায়েড ইনফ্রাস্ট্রাকচার গোষ্ঠীর দুটি কোম্পানি, সিলভারভ্যালি কমিউনিকেশন, আর টি প্রোপার্টিস, যশোদা রিয়েল স্টেট, আই-কোর, ই-সার্ভিস লিমিটেড, এমপিএস গোষ্ঠীর ৪টি কোম্পানি, প্রয়াগ গোষ্ঠীর ৫টি কোম্পানি, রাহুল গোষ্ঠীর দুটি কোম্পানি, ইউরো গোষ্ঠীর ৯ কোম্পানি, র্যামেল ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়ালিশ গোষ্ঠীর দুটি কোম্পানি আছে। এ দিকে সারদা গ্রুপ অফ কোম্পানির জমি কিংবা সম্পত্তি বিক্রি ও হস্তান্তর করার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার এক মাস আগে মালদহের এক প্রোমোটার তাঁর টাকা না পেয়ে গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের থেকে তাঁর সংস্থার মালদহের ৭ বিঘা জমি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেন বলে অভিযোগ। মালদহে সারদার এক কর্তা আমানতকারীদের বকেয়া টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সংস্থার ১১৬ কাঠা জমি নিজের স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করান বলে অভিযোগ। জেলা রেজিস্ট্রার বলেন, “বিষয়টি রাজস্ব দফতরকে জানানো হয়েছে। কেমন করে ওই জমি উদ্ধার করা যায় সেটা দেখা হচ্ছে।” |