রাজ্যের সব জেলাশাসকের কাছে জরুরি বার্তা পাঠিয়ে সোমবার ফ্যাক্স মারফত স্পর্শকাতর বুথের তালিকা জোগাড় করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের দেওয়া তথ্যে কমিশন প্রাথমিক ভাবে দেখেছে, গড়ে ৫০ শতাংশ বুথ অতি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আর স্পর্শকাতর বুথ ১৫-২০ শতাংশ। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “প্রতিটি বুথের ইতিহাস, বিশেষ করে আগের ভোটে গণ্ডগোলের তথ্যের ভিত্তিতেই অতি স্পশর্কাতর ও স্পর্শকাতর বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে।”
পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কত সশস্ত্র বাহিনী চেয়েছিলেন, তারও তথ্যপঞ্জি তৈরি করা হয়েছে। সেই সব তথ্য নিয়েই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে সোমবার সন্ধ্যায় আইনজীবী সমরাদিত্য পালের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন কমিশনের সচিব তাপস রায়। কমিশন সূত্রের খবর, আজ, মঙ্গলবার শুনানিতে আদালত যে-সব তথ্য চাইতে পারে, তা চটজলদি পেশ করার প্রস্তুতি চলছে এ ভাবেই।
কমিশন জানাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটে বুথের সংখ্যা ৫৭ হাজার ১৫টি। তার মধ্যে ২৯ হাজার ৮৮৮টি বুথ এক-একটি বাড়িতে (প্রেমিসেস)। বাকি ১২ হাজার ১৪৫টি বুথ রয়েছে একাধিক বাড়িতে। ডিএম, এসপিদের রিপোর্টে কমিশন দেখেছে, ১৭টি জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের জন্য এক লক্ষ ৭৮ হাজার সশস্ত্র পুলিশ প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিচারে তা ১২০০ কোম্পানি। রাজ্যের ৫৮ হাজার পুলিশ বাদ দিয়ে কমিশন ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে বুথের সংখ্যা ৪৯১০। প্রতি বুথে দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশ দিতে হলে লাগবে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ। অন্য সব জেলার ক্ষেত্রেও বুথের হিসেব কষে পুলিশের সংখ্যা বার করা হয়েছে। এ দিনও প্রতি বুথে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ দেওয়ার জন্য রাজ্যের কাছে দাবি জানায় কমিশন। প্রার্থীরা যাতে নির্ভয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে ৩০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির দিন থেকেই কাজে লাগাতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
|