ভাঁড়ারে টানাটানি চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু সেটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ডাক বিভাগের প্রাপ্যও মেটাতে পারছে না রাজ্য সরকার। টাকা না-পাওয়ায় শুক্রবার থেকে রাজ্যের দু’রকম (বিজনেস পোস্ট এবং ‘বুক নাউ, পে লেটার’) সরকারি ডাক পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে মহাকরণের ডাকঘর। এমন ঘটনা নজিরবিহীন। এই দু’টি পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে মহাকরণ থেকে বিভিন্ন জায়গায় দ্রুত চিঠি পাঠাতে ফাঁপরে পড়বে প্রশাসন। কারণ নির্দিষ্ট বিভাগ থেকে খাম ও প্যাকেট সংগ্রহ করে বণ্টনের পুরো কাজটাই করেন ডাককর্মীরা।
মহাকরণের একতলার ডাকঘরে প্রায় সব রকম ডাক পরিষেবা মেলে। ডাক বিভাগের সিনিয়র সুপার ননীগোপাল সাহা বলেন, “ওই ডাকঘরের পরিষেবা স্বাভাবিক আছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারের নির্দিষ্ট দু’রকম ডাক বিলির কাজ। প্রত্যক্ষ ভাবে না-হলেও পরোক্ষ ভাবে ওই ডাকঘর এই ডাক বিলির সঙ্গে যুক্ত।”
নিয়ম অনুযায়ী ‘বিজনেস পোস্ট’ পরিষেবার জন্য আগাম টাকা দিতে হয়। ‘বুক নাউ, পে লেটার’ (বিএনপিএল) পরিষেবার জন্য এক মাস পরে টাকা মেটালেও চলে। মহাকরণের বিভিন্ন দফতর দীর্ঘকাল ধরে এই দু’টি পরিষেবা নেয়। সেই জন্য জিপিও-র ‘বিজনেস পোস্ট’ বিভাগের তিন কর্মী প্রতিদিন মহাকরণে যান। বিভিন্ন বিভাগ থেকে খাম-প্যাকেট সংগ্রহ করে ডাকঘরে সেগুলো সাজানোর পরে তাঁরা ফেরেন জিপিও-তে। তার পরে সেগুলোয় ‘ফ্র্যাঙ্কিং’ ছাপ মেরে তালিকাভুক্ত করে বিলির ব্যবস্থা করেন তাঁরা।
|
বিল নিয়ে ফের চিঠি অমিতের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তড়িঘড়ি বিল পাশ করেছে রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের গেরোয় সেটি কবে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না। বিলটি দ্রুত অনুমোদনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি লিখছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বিল অনুমোদনে যাতে অযথা দেরি না-হয়, সেই জন্য অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি দিল্লি বিমানবন্দরে গিয়ে তাতে রাজ্যপালের স্বাক্ষর করিয়ে নেন এবং হাতে হাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দিয়ে আসেন। উদ্দেশ্য ছিল, কয়েক দিনের মধ্যেই বিলটি যেন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিলটির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি মন্ত্রকের অনুমোদন নিতে অন্তত ছ’সপ্তাহ লাগবে। অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রকে লিখছেন, রাজ্য দ্রুত এই আইন বলবৎ করতে চায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব বিলটিতে প্রয়োজনীয় অনুমোদনের ব্যবস্থা করা হোক। |