এক বধূর অপমৃত্যুতে স্বামী, ভাসুর ও ভাসুরের স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতার মা। রবিবার দুপুরে বিষ্ণুপুর থানার গোঁসাইবাড়ি গ্রামে টুম্পা মাঝি (২২) নামে ওই বধূর মৃত্যু হয়। টুম্পার মা, বিষ্ণুপুর শহরের সাক্ষীগোপালপাড়ার বাসিন্দা অঞ্জু হাড়ি সোমবার বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, তাঁর মেয়েকে মন্টু মাঝি বছর চারেক আগে প্রেম করে বিয়ে করে। তাঁদের একটি ছেলেও হয়। কিন্তু টুম্পাদের বাপের বাড়ি ‘ছোট জাত’এই অভিযোগে মন্টু ও তাঁর দাদা-বৌদি টুম্পার উপরে অত্যাচাক চালাতেন। এটা-সেটা দাবি করে মারধর করা হত। অঞ্জুদেবীর অভিযোগ, “গত চার মাস মেয়েটা আমার কাছেই ছিল। দিন কয়েক আগে জোর করেই ওকে বাড়ি নিয়ে গেল জামাই। তার পরই রবিবার বিকেল পাঁচটায় আমাদের জানানো হল দুপুর ২টোয় আমার মেয়ে নাকি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে!” |
টুম্পার স্বামী, পেশায় দিনমজুর মন্টুর অবশ্য দাবি, “ঘরে ঝুলে থাকা একটা বিদ্যুৎবাহী তার কাউকে না জানিয়েই কাঁচি দিয়ে কাটতে গিয়ে শক খেয়ে মারা যায় আমার স্ত্রী। শাশুড়ির আভিযোগ মিথ্যে।” এ দিন থানায় এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে অঞ্জুদেবী অবশ্য বলেন, “পুরোটাই নাটক! কাঁচি দিয়ে বিদ্যুতের তার কাটতে যাবে, আমার মেয়ে কি এতই বোকা? আমার ধারণা, মন্টু, তার দাদা পল্টু ও তার বউ পরিকল্পিত ভাবে মেরেছে আমার মেয়েকে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করে শাস্তি দিক।” মৃত বধূর কাকা অচিন্ত্য হাড়ি বলেন, “মারা গিয়েছে দুপুর ২টোয়। তা হলে এতো কাছে থাকা সত্ত্বেও আমাদের সে খবর জানানো হল তিন ঘণ্টা পর! এতো লুকোছাপা কেন?” পুলিশ জানায়, দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এখনও কাউকে ধরা হয়নি।
|