প্রবল দাবদাহের পর অপেক্ষা ছিল বৃষ্টির। শুক্র-শনি-রবি-পরপর তিনদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে হাসি ফুটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার চাষিদের মুখে।
জেলার মুখ্য কৃষি আধিকারিক শ্যামল মজুমদার জানান, বৃষ্টির ফলে আমের ও লিচুর বোঁটা শক্ত হবে। বৃষ্টির ফলে পাট ও আউস ধানেরও ভাল হবে। তিনি বলেন, ‘গত শনিবার বৃষ্টিপাত হয়েছে ৪.২ মিলি মিটার এবং রবিবারের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯.৪ মিলিমিটার। ওই বৃষ্টিপাতের ফলে পাট ও আউস চাষের উপকার হয়েছে। তবে দেরিতে আবাদ করা বোরো ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।”
|
বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ভুট্টাক্ষেত। —নিজস্ব চিত্র। |
বাগিচা চাষেরও উপকার হয়েছে বলে জানান উদ্যানবিদ তথা মুর্শিদাবাদ জেলার উদ্যান পালন ও বাগিচা চাষ বিভাগের আধিকারিক শুভদীপ নাথ। তিনি বলেন, “ দু’ দিনের বৃষ্টির ফলে আম, লিচু, কাঁঠাল ও কলাচাষের বেশ ভাল হল। তবে বৃষ্টিপাতের ফলে হঠাৎ করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। সে কারণে পটল, ঝিঙে জাতীয় সব্জি গাছে ছত্রাক জাতীয় রোগের আক্রমণ হওয়ার সম্ভবনা থাকবে। ওই বিষয়ে কৃষকের সর্তক থাকা উচিত।”
তিনি আও জানান, “৮৬ হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়েছে। ঝড়ে এর মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ জমির ফসল নষ্ট হতে পারে।” জমির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা জানার কাজও শুরু হয়েছে বলে
জানান তিনি।
রবিবার বিকালে কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড দশা হয় বহরমপুর শহরের। লালদিঘি, ওয়াই এম মাঠ-সহ কয়েকটি এলাকায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে। ঝড়ের দাপটে ক্ষতি হয়েছে ভু্ট্টাচাষের।
অন্য দিকে, নদিয়া জেলাতেও ঝড়-বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। কিন্তু এই বৃষ্টি অস্বস্তি বাড়িয়েছে জেলার চাষিদের মধ্যে বলে জেলা কৃষি দফতরের অভিমত। মহৎপুরের কৃষিজীবী ইদ্রিস আলি জানান, ধান কাটা হয়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় মাঠেই পড়ে থাকা ধানের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।” |