খুনের দায়ে এক সিপিএম নেতা-সহ দশ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিলেন কৃষ্ণনগর জেলা আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টের (চতুর্থ) বিচারক রাজীব সাহা। সোমবার তিনি এই রায় দেন। আদালত সূত্রের খবর, ১৯৯৬ সালের ৩০ নভেম্বর কৃষ্ণগঞ্জের তারকনগরের বাসিন্দা অনুপ সেন (৩০) কে কুপিয়ে ও গুলি করে খুন করা হয়। ঘটনার দিনই মৃতের দাদা শ্যামাপদ সেন কৃষ্ণগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। |
সাজাপ্রাপ্তরা। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন আদালত মৃতের প্রতিবেশী অনিল বিশ্বাস ও তার দাদা প্রতুল বিশ্বাস সহ অচিন্ত্য বিশ্বাস, প্রবীর বিশ্বাস, বিমল বিশ্বাস, বিনয় সরকার, হরেন সিকদার, মদন বিশ্বাস, নিরঞ্জন বিশ্বাস ও তার ভাই মনোরঞ্জন বিশ্বাস কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে শিবনিবাস গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য সিপিএমের বিমল বিশ্বাস রয়েছেন। সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ সরকার বলেন, “জমি-বিবাদের জেরে অতুল সরকার দলবল জুটিয়ে প্রদীপবাবুকে খুন করে।” সিপিএমের মাজদিয়া লোকাল কমিটির সম্পাদক নারায়ণ সরকার বলেন, “বিমল বিশ্বাসের সঙ্গে এই খুনের কোনও যোগ নেই। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।”
|
গুজব যে কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা হাড়ে হাড়ে টের পেল নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ একটি হেলিকপ্টারকে নীচু দিয়ে যেতে দেখে রটে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। দুর্যোগ উপেক্ষা করে স্থানীয় সুলতানপুর, কুবেরডাঙা, নিশ্চিন্তপুর এলাকার হাজার হাজার লোক জল কাদা ভেঙে মাঠে নেমে পড়েন। মাঠে নামে ওসি মানস চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশও। এক অফিসারের কথায়, হাঁটু সমান জলে সার্চ লাইট জ্বেলে হেলিকপ্টার খুঁজতে গিয়ে তখন রীতিমতো নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে। এমন সময় আবার গুজব। মাঠে নয়, হেলিকপ্টার ভেঙেছে ভাগিরথীর বুকে। সটান পাটুলি ঘাটে গিয়ে নৌকা ভাড়া করে পুলিশ শুরু করে তল্লাশি। মাঝ রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে কোনও কিছু না পেয়ে ফেরেন পুলিশকর্মীরা। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “রাত পর্যন্ত পুলিশি তল্লাশি খোঁজ মেলেনি হেলিকপ্টারের।”
|
হাজার শয্যার ধুবুলিয়া যক্ষা হাসপাতালের এক সঙ্গে ৩৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে সরানো হচ্ছে। এই হাসপাতালে এখন ৫০ জন রোগী রয়েছেন। অথচ চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ছিলেন ৫১ জন। এ ছাড়াও ১৯ জন নার্সের মধ্যেও ৭ জনকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল সুপার নির্মল সানা বলেন, “সিএমও এইচের নির্দেশেই সোমবার ৩৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, জেলা সফরে এসে এই হাসপাতালকে পিপিপি মডেলে মেডিক্যাল কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। |