চুনী গোস্বামী, পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলারের পাশাপাশি ক্রিকেটার, হকি অলিম্পিয়ান, অ্যাথলিটের উপস্থিতিতে সোমবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও রাজ্য ফুটবল অ্যাকাডেমি কবে অ্যাকাডেমি পুর্ণাঙ্গ কাজ শুরু করবে তা নিয়ে কিন্তু ধন্ধ রয়ে গেল।
সাড়ে সাতশো জন মতো অনূর্ধ্ব-১৫ খুদে ফুটবলার এ দিন জড়ো হয়েছিল মোহনবাগান মাঠে। অভিভাবকদের সঙ্গে। কিন্তু কিছুক্ষণ দৌড়নোর পর তাদের আগামী সোমবার এসে ফর্ম পূরণ করতে বলা হল। ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র দাবি করলেন, “আশা করছি জুনেই অ্যাকাডেমির কাজ শুরু করতে পারব।” কিন্তু অ্যাকাডেমির টিডি গৌতম সরকারের কথায় সেটা আরও পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত। “জেলায় জেলায় ঘুরে ঝাড়াইবাছাই করে শিক্ষার্থীর সংখ্যটাকে পঞ্চাশে নামিয়ে আনতে অন্তত মাস চারেক তো লাগবেই,” বললেন প্রাক্তন তারকা মিডফিল্ডার। |
বাম সরকারের আমলে রাজ্য ক্রীড়া পর্ষদ ৩০টি স্পোর্টস স্কুল করেছিল জেলায় জেলায়। যার মধ্যে কিছু ফুটবল স্কুলও ছিল। কিন্তু টাকা এবং পরিকল্পনার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় সেগুলো। এ দিন বর্তমান রাজ সরকারের ফুটবল অ্যাকাডেমির উদ্বোধন হলেও সেটা ভবিষ্যতে কীভাবে চলবে তার রূপরেখা সে ভাবে দিতে পারেননি কেউই। ক্রীড়ামন্ত্রী শুধু বলেন, “জেলায় জেলায় স্পটাররা যাবেন। ফুটবল প্রতিভা বাছবেন। যারা নির্বাচিত হবে তাদের আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। মনে রাখতে হবে এটা ক্রীড়া পর্ষদের অ্যাকাডেমি।”
দেশের সবথেকে সফল ফুটবল অ্যাকাডেমি টিএফএ-র ডিরেক্টর পদে কাজ করে আসা চুনী-পিকে দু’জনেই মঞ্চে মাইক হাতে বললেন, “উদ্যোগটা খুবই ভাল। কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে। ফুটবলারদের নিয়ে পড়ে থাকতে হবে।” এ দিন অনুষ্ঠানে একটি প্রদর্শনী ম্যাচে ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব ২-০ হারায় প্রাক্তন ফুটবলারদের নিয়ে গড়া ক্রীড়ামন্ত্রী একাদশকে। |