ট্রেভর জেমস মর্গ্যানের দলের সঙ্গে পাল্লা দেবেন কী, সোমবার দুপুরে শহরে পৌঁছেই মায়ানমারের ইয়াঙ্গন এফসি-র কোচ ইভান ভেঙ্কভ কোলেভ সাংবাদিকদের বলে দিলেন, “ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে কিছুই জানি না। ওদের খেলাও দেখিনি। আমরা নিজেরাও খেলে খেলে সত্যিই ক্লান্ত। তবু এখানে জিততে চাই।”
এএফসি কাপের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে ইয়াঙ্গনের বালগেরিয়ান কোচ ক্লান্তির কথা বললেও, বিদেশি-সহ শক্তিশালী দল নিয়েই এসেছেন। তবে কার্ডের জন্য আসেননি বিদেশি ডিফেন্ডার প্যাট্রিক। যদিও দুই বিদেশি স্ট্রাইকারই গোলের মধ্যে আছেন। আইভরি কোস্টের কোনে অ্যাডাম এএফসি কাপের গ্রুপ লিগের সব ম্যাচেই গোল করেছেন। সব মিলিয়ে ন’টা গোল। অন্য জন, ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার সিজার-ও গত মরসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন মায়ানমার জাতীয় লিগে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন পর্যায়ের মায়ানমার জাতীয় দলের সাত জন ফুটবলার আছেন ইয়াঙ্গন টিমে।
আই লিগ না পাওয়ায় এএফসি কাপকে পাখির চোখ করেছেন চিডি-মেহতাবরা। গ্রুপ লিগে মর্গ্যানের টিমের পারফরম্যান্সও চমকে দেওয়ার মতো। কোনও ম্যাচ না হেরে দেশের প্রথম দল হিসাবে এই টুর্নামেন্টের নক আউটে উঠেছে এ বার ইস্টবেঙ্গল। ইয়াঙ্গন কোচও বলছেন, “ঘরের মাঠ সল্ট লেক স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল খেলবে। জনসমর্থনও ওদের দিকে থাকবে।”
ইস্টবেঙ্গল আই লিগ শেষ করেছে ‘থার্ড বয়’ হয়ে। আর মায়ানমার লিগে ইয়াঙ্গনও এই মুহূর্তে তিনে। শুধু গোল পার্থক্যে পড়ে গিয়েছে একধাপ নীচে, চার নম্বরে। ইস্টবেঙ্গলের সাহেব কোচ ইয়াঙ্গনের খেলার সিডির খোঁজ করলেও তা পাননি। তবে মর্গ্যানের সুবিধা মননদীপ সিংহ ছাড়া চার বিদেশি-সহ পুরো টিমকেই ফিট অবস্থায় হাতে পাচ্ছেন। চিডি, পেন, বরিসিচ, ওপারাকে একসঙ্গে নামাতে পারবেন মর্গ্যান। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্যে। বরিসিচ আই লিগে ব্যর্থ হলেও এএফসি কাপে এখন পর্যন্ত সফল। গ্রুপ লিগে চিডি, লালরিন্দিকার মতো বরিসিচও করেছেন তিন গোল।
মাত্র চার বছর আগে জন্ম ইয়াঙ্গন ইউনাইটেড এফসি-র। যে বছর ক্লাবটি তৈরি হয়, সে বারই সুভাষ ভৌমিকের ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল মায়ানমারের দলটি। ২-১ জিতেছিল লাল-হলুদ। গোল এডমিলসন ও হরমনজিৎ খাবরার গোলে। বুধবারের ম্যাচ দু’জনেই নেই। এডমিলসন বাতিল হয়ে গিয়েছেন আগেই। খাবরা চোট পেয়ে অনেক দিনই মাঠের বাইরে। দেখার, এ বার ইস্টবেঙ্গল জেতে কি না? |