গত কয়েক বছরে ওয়েন রুনি-ই হয়ে উঠেছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের ‘পোস্টার বয়’। তাঁর বন্দনায় মুখর ছিল ম্যান ইউ সমর্থকরা। কিন্তু সেই তারকাকে ক্লাবে ধরে রাখাটাই আপাতত হয়ে দাঁড়িয়েছে ম্যান ইউয়ের নবাগত কোচ ডেভিড মোয়েসের প্রথম দায়িত্ব।
রবিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের বিদায়ী ম্যাচে রুনি রিজার্ভ বেঞ্চেও জায়গা পাননি। কারণ, ফার্গুসনের কাছে রুনির ছাড়পত্র চাওয়ার আবেদন। সেই আবেদন খারিজ তো হয়ে গিয়েছেই। ম্যান ইউয়ে রুনির ভবিষ্যৎ নতুন ম্যানেজারই নির্ধারণ করবেন বলে বলে দেন ফার্গি। “ক্ষমা চাইছি, কিন্তু রুনি থাকবে কি না তা আমার সিদ্ধান্ত না,” বলেছেন তিনি।
ম্যান ইউ মহাতারকাদের গত ২৭ বছর ধরে সঠিক ভাবে ম্যানেজ করতে পারাটা ফার্গুসনের অন্যতম কৃতিত্ব। অতীতে প্রয়োজনে বেকহ্যাম, রোনাল্ডো, নিস্তেলরুইদের মতো তারকাদের ক্লাব থেকে সরিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি স্যর অ্যালেক্স। অন্য দিকে, তিন বছর আগে ডেভিড মোয়েসের সঙ্গে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ার কারণে ম্যান ইউয়ে জল্পনা তুঙ্গে যে, রুনি আবার সেই ম্যানেজারের অধীনেই খেলবেন কি না। এই কারণে এভার্টনে মরসুম শেষ করেই পরের সোমবার থেকে রুনির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মোয়েস। ইংরেজি প্রচারমাধ্যমের মতে চেলসি এখন থেকেই রুনিকে সই করানোর জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করায় মোয়েসের হাতে সময় খুব কম। চেলসির সম্ভাব্য নতুন কোচ হোসে মোরিনহোর পছন্দের তালিকায় রয়েছেন রুনি।
এমনকী দু’বছর আগেও রুনিকে রিয়াল মাদ্রিদে সই করাতে চেয়েছিলেন রোনাল্ডোদের কোচ মোরিনহো। এ দিন রুনিকে চেলসিতে সই করানোর আর্জি জানিয়ে ডেভিড লুইজ বলেছেন “সবাই জানে রুনি বিশ্বমানের ফুটবলার। ও চেলসিতে এলে দলের পক্ষে খুবই ভাল হবে।” কিন্তু স্যর অ্যালেক্সের পর তাঁর তারকা শিষ্যকেও পরের মরসুমে ম্যান ইউ হারাবে কি না তা সময়েই বলবে। |