একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে সোমবার মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের উপস্থিতি নিয়ে ফের বিতর্ক দেখা দিয়েছে সিঙ্গুরে।
প্রস্তাবিত স্কুলটির কর্ণধার সিপিএম প্রভাবিত ‘ন্যানো বাঁচাও কমিটি’র সম্পাদক মানস ঘোষ। সিঙ্গুরে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন ‘কৃষিজমি রক্ষা কমিটি’র আন্দোলনের সময়ে আগাগোড়া তার বিরোধিতা করেছিল ‘ন্যানো বাঁচাও কমিটি’। সেই কমিটিরই এক নেতার অনুষ্ঠানে এ দিন রবীন্দ্রনাথবাবুর উপস্থিতিতে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তাঁর দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজন।
তৃণমূলের কয়েক জন নেতার আক্ষেপ, “রবীন্দ্রনাথবাবু কিছু দিন আগে দলের একাংশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তার পরে সময় বুঝে বিদ্রোহে জল ঢেলে মন্ত্রিত্বে ঢুকে পড়লেন। এখন আবার ন্যানো বাঁচাও কমিটির অনুষ্ঠান মঞ্চেও থাকছেন। এ সব মানা যায় না।” কৃষি রক্ষা কমিটির আর এক নেতা মহাদেব দাস অবশ্য রবীন্দ্রনাথবাবুর বিরুদ্ধে দলেরই একাংশের আনা তির ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মাস্টারমশাইয়ের (রবীন্দ্রনাথবাবু) ন্যানো বাঁচাও কমিটির লোকজনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে যাওয়া নিশ্চয়ই আক্ষেপের। কিন্তু এ কারণে দলের কয়েক জন তাঁকে নিয়ে যে সব কথা বলছেন, তা ঠিক নয়।”
ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “প্রাক্তন রাজ্যপাল শ্যামল সেন ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন। ছিলেন বিবেকানন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও। কারা আমার বিরুদ্ধে বলছেন, আমি ঠাওর করতে পারছি। আমি মানসবাবুর পরিচয় খোঁজ নিয়ে দেখব।” এ বিষয়ে সিঙ্গুরের সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য আপাতত তৃণমূলের অন্দরের এই আকচা-আকচি থেকে নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখছেন। |