|
|
|
|
হাওড়ায় লড়াইয়ে আপত্তি বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কয়েক মাস আগে ১০%-এর বেশি ভোট পেয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতার দাবি জোরালো করেছিল তারা। সেই বিজেপি-রই এ বার হাওড়া লোকসভা উপনির্বাচনের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে!
রাজ্য বিজেপি ইতিমধ্যেই হাওড়া কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে অসীম ঘোষের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছেন না, বিজেপি সেখানে লড়ুক। যার জেরে আজ, মঙ্গলবার অসীমবাবুর মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সংশয় দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পিছিয়ে আসার পিছনে লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য দরজা খোলা রাখার বার্তাই দেখছে দলের একাংশ। |
|
তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সোমবার হাওড়া ময়দান থেকে বেলুড় বাজার পর্যন্ত মিছিলের
পুরোভাগে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের সঙ্গে ছিলেন অভিষেক। ছবি: রণজিৎ নন্দী |
রাজ্য বিজেপি শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে অসীমবাবুর নাম ঘোষণা করে জানায়, মঙ্গলবার তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আপত্তিতে হাওড়ায় আদৌ লড়া হবে কি না, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে সোমবার। দিল্লি থেকে বিজেপি-র এক সর্বভারতীয় এক নেতার কথায়, “দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাওড়া উপনির্বাচনে লড়া নিয়ে আপত্তি ছিল। তা সত্ত্বেও রাজ্য নেতৃত্ব ওই আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেওয়ায় আমরা অবাক হয়েছিলাম।” শেষ পর্যন্ত বিজেপি হাওড়ায় লড়াই থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে? ওই নেতার জবাব, “সে রকমই মনে হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত ঘোষণা রাজ্য নেতৃত্বই করবেন।”
দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ বলেন, “এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, হাওড়ায় আমরা লড়ব।” বিজেপি-র অন্য এক রাজ্য নেতার বক্তব্য, “সন্ধ্যা পর্যন্ত জানি, টাকার অভাবের কথা বলে হাওড়ায় লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানো হবে।” এই সংক্রান্ত প্রশ্নে অসীমবাবুর জবাব, “রাজ্য সভাপতির কাছ থেকে এখনও তেমন নির্দেশ পাইনি। প্রস্তুত আছি। তবে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ পেলে তা মেনে নেব।”
তবে বিজেপি-র ওই নেতার বক্তব্য, “মমতাকে জোটের বার্তা দিতে ওই আপত্তি করা হয়নি। আসলে আমরা চাইছি, দ্রুত লোকসভা নির্বাচনে যেতে। তাই দেশের কোথাওই উপনির্বাচনে লড়ে লোকবল, অর্থবল খরচ করতে চাইছি না। জেতা আসনে উপনির্বাচন হলে অন্য কথা।” |
|
|
|
|
|