বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের স্বামীকে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও তাঁর স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর প্রতিবাদ করলে সঞ্জয়বাবুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক অর্ণব বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃত যুবক টালিগঞ্জের বাসিন্দা ও আশুতোষ কলেজের জনসংযোগ বিষয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
ঋতুপর্ণা জানান, এ দিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার একটি ক্লাব থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন সঞ্জয়বাবু। ঋতুপর্ণা তাঁর পাশের আসনে বসেছিলেন। প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও লেক গার্ডেন্সের মোড়ে অর্ণব নামে ওই যুবক একটি মোটরবাইকে বেপরোয়া ভাবে তাঁদের ‘ওভারটেক’ করেন বলে অভিযোগ। ঋতুপর্ণার দাবি, ওই যুবক নিয়ম ভেঙে উল্টো দিক থেকে এসেছিলেন। ঋতুপর্ণা জানান, তাঁর স্বামী এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে যুবকটি তাঁদের গালাগালি দেন। এমনকী, ইচ্ছাকৃত ভাবে মোটরবাইক দিয়ে পরপর দু’বার তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারেন। এর পরে সঞ্জয়বাবু গাড়ি থেকে নেমে ওই যুবকের কাছে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে সঞ্জয়বাবুর টি-শার্ট ছিঁড়ে গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |
ঋতুপর্ণা বলেন, “ওই যুবক সঞ্জয়কে মারধর করছে দেখে আমি গাড়ি থেকে নেমে পড়ি। আমার চিত্কার শুনে আশপাশের লোকেরা ছুটে আসেন। তাঁরাই এক পুলিশকর্মীকে ডেকে আনেন।” পুলিশ সূত্রের খবর, ওই জায়গায় কর্তব্যরত এক ট্রাফিক কনস্টেবল গিয়ে অর্ণবকে পাকড়াও করেন। পরে এক সার্জেন্টও ঘটনাস্থলে হাজির হন। ঋতুপর্ণা জানান, সার্জেন্ট আসার পরেই অর্ণব তাঁকে মারধরের পাল্টা অভিযোগ করতে শুরু করেন। যদিও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, অর্ণবই ঋতুপর্ণাদের গাড়িতে ধাক্কা মেরেছেন এবং সঞ্জয়বাবুকে মারধর করেছেন। এর পরে পুলিশ অর্ণবকে পাকড়াও করে লেক থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঋতুপর্ণা ও তাঁর স্বামী লেক থানায় গিয়ে ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, সঞ্জয়বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে অর্ণবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে তাঁর মোটরবাইকটিও।
খবর পেয়ে রাতেই থানায় যান অর্ণবের বাবা অরবিন্দ বিশ্বাস। বেসরকারি সংস্থার চাকুরে অরবিন্দবাবু বলেন, “ছেলের বন্ধুদের কাছ থেকে এই ঘটনার খবর পাই। কী করে হল, কিছু বুঝতে পারছি না।” |