ফের আতঙ্কের গ্রাসে শেয়ার বাজার। যা এক দিনে মুছে দিল লগ্নিকারীদের ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ। সোমবার সেনসেক্স ৪৩১ পয়েন্ট পড়ে ফিরে গেল এক সপ্তাহ আগের জায়গায়, ১৯,৬৯১.৬৭ অঙ্কে। গত ১৪ মাসে এটাই সূচকের সবচেয়ে বড় পতন। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক নিফটি-ও ১২৭ পয়েন্ট কমে নামল ৬ হাজারের নীচে, ৫৯৮০.৩৫ পয়েন্টে।
বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার জন্য লেনদেনকারীরা কাঠগড়ায় তুলেছেন লাফিয়ে বাড়তে থাকা চলতি খাতে বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতিকে। যার জন্য দায়ী সোনা আমদানি। এপ্রিলে সোনা-রুপো আমদানি এক ঝটকায় ১৩৮% বেড়ে হয়েছে ৭৫০ কোটি ডলার। এর জেরে বাণিজ্য ঘাটতি ১৭৭০ কোটি ডলার বা ৯৭,৩৫০ কোটি টাকা ছুঁয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান। |
হঠাত্ ধাক্কায় বিব্রত ব্রোকার। ছবি: রয়টার্স |
মার্চের ঘাটতির তুলনায় তা ৭২% বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি সোনার দাম অনেকটা কমে যাওয়ার সুযোগ নিতেই ক্রেতারা বাড়িয়ে দিয়েছেন সোনার চাহিদা। বিশ্ব জুড়ে গত দু’সপ্তাহে সোনা-রুপোর দাম কমেছে ১৭%। ভারতেও দর কমেছে ও সেটা ঘটেছে বিয়ের মরসুমে, যখন চিরাচরিত ভাবেই চাহিদার চাপ বেশি থাকে বলে বাজার সূত্রে খবর। ফলে বাড়তি আমদানি করে চাহিদা মেটাতে গিয়ে চাপ পড়েছে বাণিজ্য ঘাটতিতে। আমদানি-রফতানির হিসাব প্রকাশ করে এ দিন উদ্বিগ্ন বাণিজ্য সচিব এস আর রাও বলেন, “এপ্রিলে সোনা আমদানি মাত্রা ছাড়ানোয় ১০.৯% বেড়ে ৪১৯৫ কোটি ডলার ছুঁয়েছে সার্বিক আমদানি। রফতানি বেড়েছে মাত্র ১.৬%। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি এতটা বেড়েছে। এটা অপ্রত্যাশিত।” তখনই তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন। আর তার পরেই সোনা আমদানি নিয়ন্ত্রণে নির্দেশ জারি করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ার খবরে এ দিন আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শেয়ার বাজার। খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধি এপ্রিলে বেশ কিছুটা কমার খবরও চাঙ্গা করতে পারেনি বাজারকে। শাক-সব্জি, ভোজ্য তেল ইত্যাদির দাম কমার হাত ধরে ভোগ্যপণ্যের মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা এই হার কমে হয়েছে ৯.৩৯%। মার্চে তা ছিল ১০.৩৯%।
ঋণপত্র লেনদেন। ঋণপত্র লেনদেনের বিভাগ চালু করল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ। ফলে এ বার থেকে সেখানে শেয়ারের মতো ঋণপত্রও কেনা-বেচা করতে পারবেন লগ্নিকারীরা। |