ভাত আর আধসেদ্ধ সব্জি, মিড-ডে মিল খেল না পড়ুয়া |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুবরাজপুর |
খাবারের মান খারাপ, এই অভিযোগ তুলে মিড-ডে মিল বয়কট করল পড়ুয়ারা। শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রতিবাদে সামিল হলেন অভিভাবকেরাও। সোমবার সকালে দুবরাজপুর পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ঘটনা। |
খাবার ঘিরেই প্রতিবাদ। —নিজস্ব চিত্র |
এ দিন বিক্ষোভে সামিল অভিভাবকদের মধ্যে প্রমীলা বাউড়ি, পদ্মা বাউড়ি, সীমা বাউড়িদের অভিযোগ, “ভাত আর একটা অখাদ্য সব্জি দিয়ে বাচ্চার কী ভাবে খাবে? ডিম তো দূর, মিলে ডাল পর্যন্ত থাকে না। এই নিয়ে বহু বার বলা হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। আজও শুধু ভাত ও সেদ্ধ না হওয়া সব্জি দেওয়া হচ্ছিল, তাই প্রতিবাদ করেছি।” খাবারের মান খারাপ হওয়ায় এ দিন কোনও পড়ুয়াই আর মিল খেতে চায়নি। এ দিকে অভিভাবকদের মূল অভিযোগ অবশ্য ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও মিড-ডে মিলের জিনিসপত্র সরবরাহক শান্তি ঘোষের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, “বছর দশেক আগে চালু হওয়া এই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটিতে আগে এমনটা হত না। সম্প্রতিই এই সমস্যা শুরু হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া ও তিনজন সহায়িকা রয়েছেন। প্রধান সহায়িকা সীমা মুখোপাধ্যায় বলেন, “এতে আমার কোনও হাত নেই। অভিভাবকদের অভিযোগের কথা যথাস্থানে জানানো হয়েছে।” শান্তিবাবু অবশ্য অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, যত জন শিশু উপস্থিত থাকে, চাল বাদে মাথা পিছু (তেল, নুন, সব্জিও রান্নার খরচ) সব কিছুর জন্য বরাদ্দ মাত্র ৩ টাকা ৩৩ পয়সা! ওই টাকায় কী ভাবে ভাল রান্না সম্ভব? কী ভাবেই বা ডিম দেব?” এ দিকে দুবরাজপুরের পুরপ্রধান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তবে যতটুকু জেনেছি গতকালকের বৃষ্টিতে জ্বালানি ভিজে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। এ ছাড়া সামনেই পুরভোট। ঘটনায় কিছুটা রাজনীতিও রয়েছে।”
|