ঝড় থেমে গেলেও তার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পরে আলো জ্বলল পুরো দুর্গাপুর শহরে।
রবিবার বিকেলের দমকা ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকার বিদ্যুত্ ব্যবস্থা। বহু জায়গায় গাছ উপড়ে, গাছের ডাল ভেঙে পড়েছিল বিদ্যুতের তারের উপর। পরে রাতে অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুত্ ফিরলেও সিটিসেন্টার এলাকা অন্ধকারই রয়ে যায়। বাসিন্দারা জানান, বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুত্ এলেও ভোল্টেজ এত কম ছিল যে পাম্প চালাতে না পেরে জলের সমস্যা দেখা দেয়।
ডিপিএল এলাকার পাশাপাশি এ দিন বিদ্যুত্ সংযোগ চলে যায় দুর্গাপুর ইস্পাত টাউনশিপেও। পরে রাতের দিকে ধীরে ধীরে বিধাননগর, এমএএমসি, রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুক, সগড়ভাঙা প্রভৃতি এলাকায় বিদ্যুত্ আসে। বিদ্যুত্ আসে ইস্পাত টাউনশিপের অধিকাংশ এলাকায়। চৈতন্য অ্যাভিনিউয়ের একদিকে বিদ্যুত্ এলেও অন্য দিকে সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত বিদ্যুত্ আসেনি। তবে সবথেকে খারাপ অবস্থা ছিল দুর্গাপুরের অভিজাত এলাকা তথা অফিস পাড়া হিসাবে পরিচিত সিটি সেন্টার এলাকার। রবিবার রাত থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত কার্যত অন্ধকারেই ছিলেন বাসিন্দারা। এলাকাবাসীরা জানান, বিকেল ৩টের আগে এলাকার কোথাও বিদ্যুত্ ফেরেনি। কোথাও কোথাও বিদ্যুত্ আসে বিকেল ৫টারও পরে। দীর্ঘক্ষণ পাম্প চালাতে বা জল তুলতে না পারায় পানীয় জলের আকাল দেখা দেয় বাড়িতে বাড়িতে। শহরের গ্রিন পার্ক এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিকাল ৫টা নাগাদ বিদ্যুত্ ফিরে এলেও ভোল্টেজ খুব কম ছিল, ফলে পাম্প চালানো যায়নি।
সিটি সেন্টার এলাকাতেও বিদ্যুতের এমন বেহাল দশায় বিরক্ত বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ডিপিএলের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যে তত্পরতা দেখানোর কথা ছিল তা দেখানো হয়নি। কাজ হয়েছে অত্যন্ত ঢিমে তালে। তাই সোমবার সারাদিনের পর বিদ্যুত্ ফিরতে বিকাল গড়িয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা পুরসভার মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “ঝড়ে বিদ্যুত্ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। এলাকার বাসিন্দাদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।” তবে ডিপিএলের এক আধিকারিক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঝড়ে ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল বিদ্যুত্ বন্টন ব্যবস্থার। তাও কর্মীরা নিরন্তর কাজ করে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যুত্ সংযোগ ফিরিয়ে এনেছেন। |