কোমরে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দেয় তিন দুষ্কৃতী। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ভোররাত পর্যন্ত চোর-পুলিশ খেলা চলার পরে ধরা পড়ল তিন চোরই। উদ্ধার হয়েছে খোওয়া যাওয়া টাকা ও গয়নার অনেকটাই।
পুলিশ জানিয়েছে, কাঁকিনাড়া মানিকপিরের বাসিন্দা রবীন্দ্রপ্রসাদ সাউ কলকাতায় অটোরিকশা ভাড়া খাটানোর ব্যবসা করেন। রবিবার তাঁর মেয়ের বিয়ে ছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ রবীন্দ্রবাবু ব্যবসার টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছেই মোড়ের মাথায় তাঁর পথ আটকায় ছোটু কুর্মি, গোপাল সাউ ও মহম্মদ বাবু নামে তিন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ছোটু আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায় রবীন্দ্রবাবুর কোমরে। এরপর তাঁকে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলাতে বাধ্য করায়। রবীন্দ্রবাবু বলেন, ‘‘মেয়ের বিয়ের জন্য কিছু গয়না বানিয়েছিলাম। বাড়িতে কিছু টাকা ছিল। আমার ব্যাগেও ব্যবসার টাকা ছিল। ওরা সব টাকা আর গয়না লুঠ করে। বাধা দিতে গেলে আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে মারে। তারপর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।’’ দুষ্কৃতীরা কাঁকিনাড়ার পূর্বাশা কলোনি রুস্তম গুমটি এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় মুখ চেনা ছিল রবীন্দ্রবাবু ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজনের। ঘটনার পরই জগদ্দল থানায় খবর দেওয়া হয়। নৈহাটি ও জগদ্দল থানার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি শুরু করে। রাত আড়াইটে নাগাদ কাঁকিনাড়া থেকেই ধরা হয় তিনজনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ২৮ হাজার ৭৩০ টাকা আর কিছু গয়না পাওয়া গিয়েছে। ব্যারাকপুরের এডিসি শুভঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীদের জেরা করে এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না এবং এর আগে কি কি অপরাধের সঙ্গে তারা জড়িত ছিল তার তদন্ত হচ্ছে।’’ রবিবার অবশ্য নির্বিঘ্নেই মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন রবীন্দ্রপ্রসাদবাবু। |