|
|
|
|
জেলবন্দি ছেলেকে মাদক দিতে গিয়ে বাবাও জেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলবন্দি ছেলেকে মাদক পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন বাবা। ছেলের মতোই শ্রীঘরে ঠাঁই হল তাঁর।
শনিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। ছেলে মনোজকে মাদক পাচারের সময় ধরা পড়ে যান অজয় শ্রীবাস্তব নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর কাছ থেকে ১২ প্যাকেট মাদক উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এসে অজয়কে গ্রেফতার করে। রবিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ধৃতকে ২৪ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
কলকাতার মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা মনোজ শ্রীবাস্তব প্রায় দু’বছর ধরে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন। খুনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মনোজ আগে ছিলেন আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। সেখান থেকে তাঁকে মেদিনীপুরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে শনিবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন অজয়। বিকেলে জেলে ঢোকার মুখে তল্লাশি হয়। তখনই তাঁর কাছ থেকে ১২ প্যাকেট মাদক উদ্ধার করে কারারক্ষীরা। এর মধ্যে ৭ প্যাকেট মাদক ছিল বিড়ির প্যাকেটে। আর বাকি ৫ প্যাকেট মাদক একটি ১০০ টাকার নোটকে গোল করে পাকিয়ে তার মধ্যে রাখা ছিল। অজয়কে হাতেনাতে ধরার পরে পুলিশে খবর যায়। পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মাদক উদ্ধার অবশ্য এই প্রথম নয়। গত মার্চে জেলে তল্লাশি চালিয়ে ৫ প্যাকেট মাদক উদ্ধার হয়। পরে বন্দির সঙ্গে দেখা করতে আসা এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া যায় ৪১ প্যাকেট মাদক। বিস্কুটের প্যাকেটের মধ্যে রাখা ছিল ওই মাদক দ্রব্য। তারপর এপ্রিলে আদালত ফেরত এক বন্দির কাছ থেকে ১৮ প্যাকেট মাদক উদ্ধার হয়। সে বার বিড়ির প্যাকেটে রাখা ছিল মাদক। এ ভাবে একের পর এক ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন জেল কর্তৃপক্ষ। তবে এ নিয়ে তাঁরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত ‘বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি’। সমিতির নেতা কার্তিক সাহু বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি। এই দুষ্টচক্রে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে, না হলে এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, জেলের মধ্যে মাদক পাচারের ক্ষেত্রে একাধিক দুষ্টচক্র জড়িত। এই দলে মহিলাও রয়েছেন। ইতিমধ্যে এক মহিলার নাম পেয়েছে পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে তারা তা গোপন রেখেছে। |
|
|
|
|
|