|
|
|
|
পূর্বে বামফ্রন্টের আইন অমান্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
আন্দোলনের পথে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করতে নামছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বামফ্রন্ট। সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত, এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের লাভজনক দাম দেওয়ার দাবিতে আগামী ২০ মে-২৬ মে’র মধ্যে জেলার প্রতিটি ব্লকে বিক্ষোভ-অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছে তারা। গত শুক্রবার সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই আন্দোলন কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বামফ্রন্টের অন্য শরিক দলগুলিও সামিল হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিরঞ্জন সিহি বলেন, “একই দাবিতে ৩১ মে জেলা শাসকের অফিসের সামনে আইন অমান্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।”
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে বামেদের ভরাডুবি হয়। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর জেলায় বামেদের অস্তিত্ব আরও সঙ্কটের মুখে পড়ে। তমলুক, নন্দীগ্রাম, খেজুরি, মুগবেড়িয়া, পটাশপুর, দেশপ্রাণ-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯০টির বেশি সিপিএমের দলীয় কার্যালয় এখনও বন্ধ। গত দু’বছরে জেলা বামফ্রন্টের তরফে বড় কর্মসূচি বলতে গত জানুয়ারি মাসে কৃষকসভার জেলা সম্মেলন উপলক্ষে চণ্ডীপুরে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সমাবেশ। এই পরিস্থিতিতে সারদা কেলেঙ্কারিকে কেন্দ্র করে জনমানসে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তা সম্বল করে জেলায় বামফ্রন্টের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল ফেরানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন বাম নেতৃত্ব। সিপিএমের দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ ও ২ এবং খেজুরি ১ ও ২ ব্লক এলাকায় দলীয় কার্যালয় খোলা না গেলেও জেলার অন্যত্র বন্ধ থাকা দলীয় কার্যালয় খুলতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়াও দলীয় কৌশল মেনে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত ৮৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীরা ধাপে-ধাপে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করছেন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু নেতা-কর্মী জামিন পেয়েও গিয়েছেন। এই প্রেক্ষিতে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী হয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। |
|
|
|
|
|