|
|
|
|
সিভিক পুলিশ নিয়োগ নিয়ে অশান্তি |
দুই তৃণমূল নেতার হাতাহাতি কেশপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কেশপুরে। এ বার সিভিক পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ঘিরে গোলমাল। শুরুতে বচসা। পরে হাতাহাতি। শনিবার সন্ধ্যার ওই ঘটনায় কোনও পক্ষই পুলিশে অভিযোগ করেনি। কিন্তু হাতাহাতি করছিলেন যে দু’জন, তাঁরা দাসেরবাঁধ-কঙ্কাল মামলায় প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত থাকায় দলের অন্দরে শোরগোল পড়েছে।
একজন শ্যামল আচার্য। অন্য জন রাম সানি। শ্যামলবাবু যুব তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতেই দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলা শুরু হয়। এই মামলাতেই জেল খেটেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষ। রামবাবু তৃণমূলের শিরষা অঞ্চল সভাপতি। তিনি আবার দাসেরবাঁধ মামলার অন্যতম সাক্ষী। যে ৭ জন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন, ওই অঞ্চল সভাপতি তাঁদেরই একজন। তিনি ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শীও।
দলের জেলা নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের বক্তব্য, “কেশপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে ঠিক কী হয়েছে জানি না। ব্লক সভাপতি হয়তো বলতে পারবেন।” আর তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “এটা দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা মিটিয়ে নিতে শীঘ্রই বৈঠক হবে।”
কী হয়েছিল শনিবার?
দলীয় সূত্রে খবর, কেশপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন ব্লক সভাপতি। অঞ্চল সভাপতি এবং কয়েকজন কর্মী এতে যোগ দেন। বিকেল ৫টা নাগাদ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় ৬টায়। এরপরই গোলমাল বাধে। যুব নেতা শ্যামলকে উদ্দেশ্য করে রামবাবু বকাঝকা শুরু করেন। রামবাবুর বক্তব্য, সিভিক পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে তিনি টাকা তুলেছেন বলে দলীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ করছেন শ্যামল। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই নিয়ে বচসা গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। আগেও এই দুই নেতার মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসায় দল অস্বস্তিতে পড়েছিল। রামবাবুর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। শ্যামলবাবুও মুখ খুলতে নারাজ। রবিবার তিনি বলেন, “যা জানানোর দলকে জানিয়েছি। সংবাদমাধ্যমের কাছে আমার কিছু বলার নেই।”
সিভিক পুলিশের পদে পশ্চিম মেদিনীপুরে ৬ হাজার ২০০ জনকে নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সিভিক পুলিশের চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে যে অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে, প্রকারন্তরে তা মানছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি তপনবাবুর কথায়, “কারও কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে। দলীয় স্তরে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্যি কী মিথ্যে, এখনই বলা অসম্ভব।” সেউ সঙ্গে তাঁর দাবি, “ভুল বোঝাবুঝি থেকেই কেশপুরের ঘটনাটি ঘটেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। দলের বিরুদ্ধে কুৎসা করতেই একটা মহল থেকে অপপ্রচার করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|