|
|
|
|
৩ কংগ্রেস কাউন্সিলরের দলবদল |
ঘাটালে পুরবোর্ড দখল করতে চলেছে তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল ও কলকাতা |
একক ভাবে ঘাটাল পুরসভা দখল করতে চলেছে তৃণমূল। কংগ্রেসের তিন জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এত দিন কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট করে পুরবোর্ড চালাচ্ছিল। রবিবার কলকাতায় তৃণমূল ভবনে এসেছিলেন ওই তিন কাউন্সিলর। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, “দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে ওই তিন জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” এ বার প্রথা মেনে বোর্ড দখলের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে সুব্রতবাবু জানিয়েছেন।
২০১০ সালের জুলাই মাসে ভোট হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল পুরসভায়। ১৭টি আসনের মধ্যে সিপিএম ও বাম সমর্থিত ঘাটাল উন্নয়ন কমিটি (জিইউসি) জেতে ৮টিতে। কংগ্রেস পায় ৫টি আসন ও তৃণমূল ৪টি। ভোটের পরে জিইউসি-র দু’জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের আসন বেড়ে দাঁড়ায় ৬টি। কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট পুরবোর্ড গঠন করে। পুরপ্রধান হন কংগ্রেসের জগন্নাথ গোস্বামী, আর উপপুরপ্রধান তৃণমূলের উদয়শঙ্কর সিংহ রায়।
ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ পাল্টে যায়। কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট ভাঙে। ঘাটালে অবশ্য তার পরেও এই জোটই পুরসভা চালাচ্ছিল। তবে বিভিন্ন ঘটনায় দু’দলের দূরত্ব প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। কংগ্রেসের পুরপ্রধানের ডাকা বৈঠকে গরহাজির হতে থাকেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। উন্নয়নের কাজে সঙ্কট দেখা দেয়। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের কয়েক জন কাউন্সিলরকে দলে আনতে তৎপর হয় তৃণমূল। সেই মতো ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কৌশিক দত্ত, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শর্মিষ্ঠা সাহা ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর স্বপন মালিকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শেষমেশ এই তিনজনই দলবদল করলেন। কৌশিকবাবু বলেন, “এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে রাজনীতিতে এসেছিলাম। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছিল না। উল্টে পুরসভার কাজকর্মে দুর্নীতি ঢুকছিল। আশা করি এ বার এলাকার প্রকৃত উন্নয়ন হবে।” পুরপ্রধান জগন্নাথবাবুর প্রতিক্রিয়া, “যারা গিয়েছেন, তাঁরা তো আর আমাকে বলে যাননি! তবে লোকমুখে বিষয়টি শুনেছি।”
এই দলবদলের পর ৯ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে এখন ঘাটাল পুরসভায় তৃণমূলই সংখ্যাগরিষ্ঠ। নিয়ম মেনে এ বার বোর্ড গঠনের জন্য অনাস্থা আনতে হবে তৃণমূলকে। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, পুরপ্রধান পদত্যাগও করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উপপুরপ্রধানকে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব দেবেন মহকুমাশাসক। এর পর ১৫ দিনের মধ্যে পুরপ্রধান নির্বাচনের জন্য সভা হবে। মেদিনীপুর ও এগরা পুরসভায় অবশ্য এখনও জোট করেই বোর্ড চালাচ্ছে কংগ্রেস ও তৃণমূল। |
|
|
|
|
|