অবনমন বাঁচিয়ে কোথায় শেষ করবে করিম চাচার বাগান, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল।
তীব্র গরম থেকে পাহাড়ে গিয়ে ওডাফারা অবশ্য জিতেই শেষ করলেন আই লিগ। তবে তাঁদের লিগ টেবিলে অবস্থার কোনও উন্নতি হল না। দশ নম্বরেই শেষ করল বাগান।
অবশ্য উল্টো দিকে যে দলটা ছিল সেই ভাইচুং ভুটিয়ার সিকিম ইউনাইটেড তো ছিল ডুবে যাওয়া নৌকো। ২৫ ম্যাচে ৬০ গোল খেয়ে আগেই অবনমনে চলে গিয়েছিল পাহাড়ের দলটি। মোহনবাগান পালজোড় স্টেডিয়ামে তার উপর তিন গোল চাপাল। ভাইচুং তাঁর উজ্জ্বল ফুটবলার জীবনে যতটা সফল, ঠিক ততটাই ব্যর্থ হলেন টিমের মালিক হয়ে প্রথম বার আই লিগ খেলতে নেমে। এ দিন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মাঠে ছিলেন ভাইচুং। চোখের সামনে দেখলেন কী ভাবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তাঁর টিম। পুরো টুর্নামেন্টে দু’টোর বেশি ম্যাচ জেতেনি সিকিম। লিগে অবস্থান সবার শেষে।
|
লিগের শেষ ছবি |
দল |
খেলা |
জয় |
ড্র |
হার |
গোল |
পয়েন্ট |
চার্চিল ব্রাদার্স |
২৬ |
১৬ |
৭ |
৩ |
৫৬-২২ |
৫৫ |
পুণে এফসি |
২৬ |
১৬ |
৪ |
৬ |
৫৩-২৬ |
৫২ |
ইস্টবেঙ্গল |
২৬ |
১৩ |
৮ |
৫ |
৪৪-১৮ |
৪৭ |
প্রয়াগ |
২৬ |
১৩ |
৫ |
৮ |
৫৫-৩৫ |
৪৪ |
ডেম্পো |
২৬ |
১১ |
৭ |
৮ |
৪৫-৩৩ |
৪০ |
স্পোর্টিং ক্লুব |
২৬ |
৯ |
৮ |
৯ |
৩৬-৪১ |
৩৫ |
মোহনবাগান (১০ম) |
২৬ |
১১ |
৮ |
৭ |
৪০-৩৪ |
২৯ |
|
|
শুরু থেকেই সিকিমকে চেপে ধরেছিল করিম ব্রিগেড। পাহাড়ের ছেলে নির্মল শুরুতেই প্রায় তিরিশ গজের একটি দুর্দান্ত শটে এগিয়ে দেন গঙ্গাপাড়ের ক্লাবকে। বাকি কাজটা করেন ওডাফা-টোলগেরা। ম্যাচে সাবিথের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় চোট পান সন্দেশ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসাপাতালে। স্ক্যান রিপোর্টে অবশ্য কিছু ধরা পড়েনি। চোট সারিয়ে ফেরা টোলগে নামেন খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পনেরো আগে। একটা গোলও করেন তিনি ডেনসনের পাস থেকে। সামনের মরসুমে দলবদল নিয়ে টোলগে এতটাই চাপে যে, বারবার তাঁকে বলতে শোনা গেল, “মোহনবাগানের কোনও কর্তা আমাকে চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে যেতে অনুরোধ করেননি। আমি মোহনবাগানেই খেলব।”
এ দিনই শেষ হল এ বারের আই লিগ। চ্যাম্পিয়ন চার্চিল ব্রাদার্সের কোচ সুভাষ ভৌমিক রবিবারই চলে এসেছেন কলকাতায়। চার্চিল আলেমাওয়ের কাছে ছুটি চেয়ে নিয়ে। কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু সুভাষের দল পুণেতে শেষ ম্যাচেও ৩-০ হারাল এয়ার ইন্ডিয়াকে। গোল করেন বিনীশ বালান, ভালেস এবং হেনরি। সিকিমের সঙ্গে নেমে যেতে হল এয়ার ইন্ডিয়াকে। তারাও ২৬ ম্যাচে হজম করেছে ৬৩ গোল।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ডেম্পো এ দিন গোয়ায় ২-১ হারাল সালগাওকরকে। এবং লিগ টেবিলে পঞ্চম হল। ১-০ পিছিয়ে পড়েও আর্মান্দো কোলাসোর দল শেষ মিনিটে গোল করে জিতল। সুয়েকা-কোকোদের পিছনে ঠেলে প্রয়াগ ইউনাইটেড চার নম্বর জায়গা দখল করল। র্যান্টি মার্টিন্সের অবশ্য জায়গা বদল হল না। ডেম্পো থেকে প্রয়াগে এসেও নাইজিরিয়ান এই স্ট্রাইকার সর্বোচ্চ গোলদাতা জায়গাটা অটুট রাখলেন। |