নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
পিচ কবেই উঠে গিয়েছে। এক বছর আগে পাতা ইটও ভেঙে তৈরি হয়েছে গর্ত। হাওড়ার ডোমজুড়ের বেগড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শাঁখারিদহ থেকে কোড়োলা বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তাটির দশা এমনই। বর্ষা শুরুর আগে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, বেহাল রাস্তায় একেই প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষার আগে রাস্তা মেরামত না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাখারিদহ, রায়পাড়া, কোলড়া উত্তর এবং কোলড়া দক্ষিণ এলাকা থেকে কোলড়া বাজার এলাকায় যেতে হলে এই রাস্তাই ব্যবহার করতে হয় গ্রামবাসীদের। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল ছ’বছর আগে। রাস্তাটির পাশে পুকুর থাকায় দেওয়া হয়েছিল গার্ডওয়াল। রাস্তা তৈরির তিন বছরের মধ্যেই উঠে যায় পিচ। ভেঙে গিয়েছে গার্ডওয়ালও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাটি তৈরির পর মাত্র একবার ইট পাতা ছাড়া হয়নি আর কখনও সংস্কার হয়নি। স্থানীয় কোলড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা ওই এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “গ্রামের মানুষের কাছে রাস্তাটি খুবই প্রয়োজনীয়। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। |
মাথা ব্যথার কারণ এই রাস্তাই। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়। |
দুর্ঘটনাও ঘটছে। আমি ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করি। রাস্তাটির মেরামত খুবই জরুরি।” স্থানীয় শাখারিদহের বাসিন্দা শেখ আহম্মদ আলি বলেন, “এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। বর্ষায় রাস্তার উপর প্রায় এক হাঁটু জল জমে যায়। যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়।”
রাস্তাটির মেরামতির প্রয়োজনীয়তার কথা মেনে নিয়ে ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের সুবীর সাহা বলেন, “জেলা পরিষদ থেকে টাকা না আসার জন্য রাস্তাটি মেরামত করা যাচ্ছে না। বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।”
স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ হলেও বেগড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের রূপসী সর্দার বিষয়টি জানেন না বলেই দাবি করেছেন। তবে তাঁর আশ্বাস, “খোঁজ নিয়ে দেখব।” তবে সমস্যার কথা স্বীকার করে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দাউদ মিদ্দে বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাস্তাটি তৈরি হয়েছিল। তারপর আর মেরামত হয়নি।” জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বেগড়ি শাখারিদহ থেকে কোলড়া বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি মেরামতির জন্য কাগজপত্র তৈরি করা আছে। টাকা এলেই কাজ শুরু হবে।” |