সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে দু’প্রান্তে বসানো হয়েছিল নতুন ফলক। উদ্বোধক হিসেবে নাম ছিল পুরপ্রধান তথা সিপিএম নেতা আইনূল হকের। উদ্বোধনের আগের রাতেই সেই ফলক ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা গেল বর্ধমানে। পুরপ্রধানের অভিযোগ, “তৃণমূলের লোকজনই এই ফলক ভেঙে দিয়ে গিয়েছে।”
নূতনগঞ্জ-আলমগঞ্জ সংযোগকারী সেতুর উদ্বোধন ছিল রবিবার। অথচ শনিবার রাতে দেখা যায়, সেতুর দু’দিকে থাকা উদ্বোধনী ফলক ভাঙা পড়ে। ওই ফলকে উদ্বোধক হিসেবে পুরপ্রধান ছাড়াও নাম ছিল উপ-পুরপ্রধান তনুশ্রী সাহার। রবিবার সেই ‘মিলন সেতু’ উদ্বোধনে গিয়েই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন পুরপ্রধান। |
এই সেতুর এক দিকে রয়েছে আলমগঞ্জের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কারবালা। অন্য দিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের নতূনগঞ্জের নির্মল ঝিল শ্মশান। মাঝে বাঁকা নদীর উপরে এই মিলন সেতু। মোট এক কোটি ৪২ লক্ষ টাকায় এই সেতু গড়া হয়েছে, দাবি বর্ধমান পুরসভার। এ দিন সেতু উদ্বোধন করে আইনূল হকের অভিযোগ, “পুরসভার এই ভাল কাজে কালি লাগাতে শনিবার রাতে তৃণমূলের লোকেরাই দু’দিকের ফলক ভেঙেছে।” তাঁর বক্তব্য, “শুধু সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরাই তো এই সেতু ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করবেন সাধারণ মানুষ। যারা ফলক ভেঙেছেন, তাঁদের এ কথা মনে রাখা উচিত ছিল।”
শহরের যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি মহবুব রহমান অবশ্য বলেন, “আমার মনে হয়, তৃণমূলের কেউ সেতুর ফলক ভাঙেনি। পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে সিপিএম-ই ফলক ভেঙে আমাদের উপরে দোষ চাপাচ্ছে।” শহর তৃণমূলের সভাপতি তথা বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার এ সব ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।”
তবে এ নিয়ে পুরসভার তরফে পুলিশে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি বলে জানান বর্ধমান থানার আইসি দিলীপকুমার গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন সেতুর ফলক এই ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকবে কি না, সে প্রশ্নে আইসি বলেন, “আজ নির্বিঘ্নে সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। বাকি বিষয় পরে ভেবে দেখা হচ্ছে।” |