গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র হচ্ছে জল সঙ্কট। রানিগঞ্জের জেমারী পঞ্চায়েতের বেলিয়াবাথান ইন্দিরা কলোনি এলাকার বাসিন্দারা জানান, এলাকার পুকুরে প্রতি বছরের মত এবারও জল শুকিয়ে গিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কল থেকে সপ্তাহে দু’দিন থেতে তিন দিন জল পড়ছে। ফলে এক কিলোমিটার দূরে ইসিএলের খনি থেকে ফেলে দেওয়া জল এনে সমস্যা মেটাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা অজিত বাউড়ি, মদন বাউড়িরা জানান, ইসিএল অনেকদিন আগে একটি পুকুর কাটিয়েছিল। সেই পুকুরের জল শুকিয়ে যায়। খনি এলাকা হওয়ায় চাপা কলের জল পর্যাপ্ত পরিমাণে তোলা যাচ্ছে না। এলাকার মহিলাদের পক্ষে এক কিলোমিটার দূরে ইসিএলের খনি থেকে ফেলে দেওয়া জল আনতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তৃণমূল নেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে ইসিএল খনি থেকে বোরহোল করে খনির জল বাইরে ফেলা হচ্ছে। তাঁরা গণস্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পঞ্চায়েত এবং ইসিএল কার্যালয়ের কাছে জমা দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “পাইপের মাধ্যমে ইসিএল জল যাতে পুকুরে ফেলার ব্যবস্থা করে সেটি দেখার জন্য আমরা আবেদন জানিয়েছি। ইসিএলকে এই কাজ করতে পঞ্চায়েত যাতে সহযোগিতা করে এই আবেদনও আমরা জানিয়েছি।” গ্রাম প্রধান নিমাই ঘোষের দাবি, এলাকার মানুষের চাহিদা মেটাতে ইসিএলকে পাইপ লাইন বসানোর জন্য সহযোগিতা করার সুপারিশ তিনি মাস খানেক আগেই করেছেন। তাঁদের পক্ষে এতবড় কাজ একা করায় অসুবিধা আছে বলে তিনি মেনে নেন। ইসিএলের জেকে নগর কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ জানান, এই বিষয়টি অনুমোদনের জন্য তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। |