|
|
|
|
|
|
|
নজরদার |
|
ফড়িংবাবুর পোকা গেলা |
কয়েক দিন আগে কালবৈশাখীর সন্ধ্যাবেলায় বাড়িতে মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ছিলাম। লোডশেডিং, তাই চতুর্দিক অন্ধকার। এমন সময় গায়ের কাছে এসে বসল একটা ফড়িং। কী ফড়িং বলতে পারব না। সাবধানে ফড়িংটার দুটো পাখনা ধরে ফেললাম। মোমবাতির আশেপাশে কয়েকটা ছোট ছোট পোকা ঘুরে বেড়াচ্ছিল। সেগুলো ফড়িংটাকে খাওয়াতে চেষ্টা করলাম। দেখলাম, কাঁকড়ার দাঁড়ার মতো দেখতে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম দাঁতগুলি দিয়ে ধীরে ধীরে কী ভাবে পোকাটিকে মুখের ভেতর ফড়িংটা টেনে নিচ্ছে। আমি যেমন নুডুলস খাই। এই রকম করতে করতে মশার চেয়ে বড় একটা পোকা এল। অন্য হাতে সেই পোকাটার পিছন দিকটা ধরে ফড়িংটার মুখের কাছে ধরলাম। একই রকম ভাবে পোকাটাও চলে গেল ফড়িং-এর একদম মুখের ভেতর। পোকাটা বড় বলে যেন দেখতে সুবিধে হল ফড়িংবাবুর। এ বার জল খাওয়াতে চেষ্টা করলাম। এক ফোঁটা জল নিয়ে মেঝেতে ফেলে খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম। খেলো কী খেলো না অবশ্য বুঝতে পারলাম না।
রাজদীপ পাঁজা। পঞ্চম শ্রেণি, কাকদ্বীপ শিশু শিক্ষায়তন হাই স্কুল (উঃ মাঃ) |
|
উইপোকা এবং পাখি সকল |
এক দিন দুপুরে জানলার সামনে বসেছিলাম। বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি অনেকক্ষণ থেকেই পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে পাচ্ছিলাম। দেখি, চারিদিকে অসংখ্য উইপোকা উড়ছে। পোকাগুলো মাটি থেকে উঠছিল। আর ওদের খাওয়ার জন্য নানা রকম পাখি এসেছে। বুলবুলি, দোয়েল, শালিক আর ফিঙে। ওরা উড়ে উড়ে পোকাগুলো খাচ্ছিল। ওরা বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ঘরের সামনেই একটা পেয়ারা গাছে একটা ভাঙা খাঁচা ঝুলানো ছিল। দেখলাম, অসংখ্য উইপোকা খাঁচার ভিতরেও উড়ছিল। পাখিগুলো খুব সহজেই খাঁচার ভিতরে ঢুকে উইপোকা খেতে পারত, কিন্তু ওরা খাঁচার ওপরে বসছে, ভিতরে ঢুকছে না। ওরা হয়তো ভেবেছিল আটকা পড়ে যাবে!
গায়ত্রী মিশ্র। অষ্টম শ্রেণি, ইছাপুর গার্লস হাইস্কুল |
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে
থাকা টিকটিকি,
পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল
টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার
জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও,
চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো: |
নজরদার,
রবিবারের আনন্দমেলা,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০ ০০১ |
|
|
|
|
|
|
|
|
|