সিসিইউ তৈরি করার উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটের পাশের ঘর থেকে অসুস্থ শিশুর মায়েদের সরিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) তৈরি করায় উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ১ জুনের মধ্যে ইউনিটটি চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউনিটটি চালুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর থেকে ৩ মাস আগে প্রকল্পের টেন্ডার করে পূর্ত দফতরকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। হাসপাতালে ঘরের অভাবে পূর্ত দফতরকে জায়গা হস্তান্তর করতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সরকার নির্ধারিত সময়ে ইউনিটটি চালু নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তড়িঘড়ি ওই ইউনিটটি চালু করতে একজন উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কাজল মণ্ডল। ওই উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাস গত সোমবার জেলায় কাজে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার অশোকবাবু পূর্ত আধিকারিককে নিয়ে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “সমস্যা মিটেছে। শুক্রবার থেকে সিসিইউ ওয়ার্ড তৈরি শুরু হবে।”
তিনি জানান, হাসপাতালের তিন তলায় সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটের পাশে একদা টেলিমেডিসিনের ফাঁকা ঘরেই সিসিইউ তৈরি হবে। আপাতত ৬ শয্যার ব্যবস্থা চালু হবে। তিন জন চিকিৎসককে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়েছে। টেলিমেডিসিনের ওই ফাঁকা ঘরটিতে সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে ভর্তি শিশুর মায়েদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই ঘরে সদ্যোজাত অসুস্থ শিশুদের মায়েরা দুধ খাওয়ান। নিউবর্ন কেয়ার ইউনিটে ১০টি শয্যা রয়েছে। প্রায় সব সময় সেগুলি ভর্তি থাকে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে নার্সদের পোশাক বদলের একটি ছোট ঘর ব্যবহার হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। হাসপাতালের একাংশ কর্মী নার্সেরা জানান অসুস্থ শিশুদের মায়েরা নির্দিষ্ট সময় পর পর শিশুকে দুধ খাওয়ান। এমনিতেই ঘরটি ছোট। ৪-৫ জন মা একসঙ্গে শিশুদের নিয়ে ঢুকলে সমস্যা হবে। তার পরে শৌচালয় না থাকায় আরও সমস্যা বাড়তে পারে।
বালুরঘাট হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “সিসিইউ তৈরির সমস্যা আপাতত মিটেছে। আলাদা ঘরও একটি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিশুদের মায়েদের পাশাপাশি জায়গার সমস্যা কাজ শেষ হলেই মিটে যাবে। পুরোটাই অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হচ্ছে।” |