কারণ না দেখিয়েই ছাঁটাই ১৮ জন শিক্ষক-চিকিৎসককে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একসঙ্গে ১৮ জন শিক্ষক-চিকিৎসককে ছাঁটাই করল যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই একমাত্র বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যে কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে এত জন চিকিৎসককে ছাঁটাই করার নজির নেই।
গত এপ্রিল মাসেই মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া আগামী পাঁচ বছরের জন্য অনুমতি দিয়েছিল কেপিসি মেডিক্যাল কলেজকে। তার পরেই এই ডাক্তারদের ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত। ক্ষুব্ধ চিকিৎসকেরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, “হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক শিক্ষক-চিকিৎসক রয়েছেন সেটা মেডিক্যাল কাউন্সিলের সামনে প্রমাণ করতে আমাদের চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অনুমতি মিলতেই কোনও কারণ না দেখিয়ে ১৮ জনকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল।” এই অভিযোগ অবশ্য কলেজ কর্তৃপক্ষ মানতে চাননি।
ছাঁটাই হওয়া ওই চিকিৎসকদের আরও অভিযোগ, নিয়মানুযায়ী ছাঁটাইয়ের আগে শো-কজ করার কথা। তা করা হয়নি। ছাঁটাইয়ের চিঠিতে কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। শুধু লেখা হয়েছে, ওই চিকিৎসকদের পরিষেবা আর প্রয়োজন নেই। ২ মাসের বেতন দিয়ে তাঁদের ছাঁটাই করা হল। সুশান্তবাবুর বক্তব্য, “যদিও কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ সরাসরি সরকারের অধীনে নয়, তবু এত জনকে ছাঁটাইয়ের কারণ আমরা খতিয়ে দেখব।”
কেপিসির তরফে সিইও জয়দেব মিত্র জানিয়েছেন, যে সব চিকিৎসকের থেকে ভাল কাজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদেরই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, রোগী পরিষেবার ব্যাপারে তাঁরা কোনও সমঝোতা করবেন না। হাসপাতালের অধ্যক্ষ বরুণ সাহা দালালের কথায়, “মেডিক্যাল কাউন্সিলকে দেখানোর জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসক নেওয়ার প্রশ্নই নেই। আমাদের ৩৭৩ জন চিকিৎসক ছিলেন। তার থেকে ১৮ জন বাদ গেলেও প্রচুর ডাক্তার থাকবেন। মেডিক্যাল কাউন্সিলের অনুমোদন বজায় রাখতে সংখ্যাটা যথেষ্ট।” |