উন্নয়ন, শিল্প স্থাপন নিয়ে বাম জমানায় উত্তরবঙ্গ যেমন বঞ্চনার শিকার ছিল সেই পরিস্থিতি এখনও চলছে বলে অভিযোগ তুললেন বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে যুব কংগ্রেসের নেতৃত্ব তৈরির কর্মীসভায় যোগ দিতে এসে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “বাম জমানায় উত্তরবঙ্গের জঙ্গল মহল লুঠ হয়েছে। চা, পর্যটন শিল্পে বিপর্যয় হয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর অনেক আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তাতেও ছেদ পড়েছে।” মানসবাবুর প্রশ্ন, “গুজরাতে ‘আমূল’ যদি সফল হতে পারে তবে উত্তরবঙ্গে ‘হিমূল’-কে কেন দাঁড় করানো যাচ্ছে না? হিমূলের উন্নয়নে আমাদের কর্মী সংগঠনের তরফেও বিভিন্ন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।” তাঁর বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী হয়ত চেষ্টা করছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর করেছেন। কিন্তু বাস্তবে সেই সমস্ত চেষ্টার ফসল এখনও ফলেনি।”
মানসবাবুর দাবি, বিভিন্ন লগ্নি সংস্থার ব্যাপারে সেবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৮টি চিঠি দিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করেছিল। রাজ্যে ক্ষমতা বদলের পর নতুন সরকার সে ব্যাপারে কিছু শুরু করতে উঠতে পারেনি। অথচ সে সমস্ত সংস্থা নিয়ম মেনে কাজ করছিল না তাদের তালিকা করে রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছিল সেবি। সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হয়নি। তাতে গভীর সঙ্কট তৈরি হয়েছে। গোটা পরিস্থিতি, বাসিন্দাদের ক্ষতি, সংস্থাগুলির বিস্তার খতিয়ে দেখতে তাই তাঁরা সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন।
এ দিন বিকেলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া একটি ভবনে যুব কংগ্রেসের নেতৃত্ব তৈরির সভায় যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন যুব কংগ্রেসের নতুন রাজ্য সভাপতি শমিক হোসেন, কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নানের মতো নেতারা। নব নির্বাচিত যুব কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং প্রতিনিধিদের নিয়ে সামাজিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর তাঁরা আলোচনা করবেন। কী ভাবে যুব নেতৃত্ব কাজ করবে তা বোঝান হবে। মানসবাবু এ দিন জানান, তাঁরা চান দ্রুত পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। |