গভীর সমুদ্র-বন্দর তৈরির প্রস্তাব পাশ |
পশ্চিমবঙ্গে গভীর সমুদ্র-বন্দর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল জাহাজ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার তা পাশ করল মন্ত্রিসভার অর্থবিষয়ক কমিটি। পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র-সহ সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে বন্দর। এর জন্য নিয়োগ করা হবে লেনদেন উপদেষ্টা এবং আইনি পরামর্শদাতা। প্রকল্পের দায়িত্ব কে পাবে, সে সিদ্ধান্ত নিতে নিলামের আয়োজন করা হবে। তবে কাজ হবে ওই বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও যোজনা কমিশনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই। এই মুহূর্তে কলকাতা ও হলদিয়ায় যে দু’টি বন্দর রয়েছে, দু’টিই নদী-বন্দর। ব্যাপক ভৌগোলিক পরিবর্তনের জন্য সেই হুগলি নদীরও নাব্যতা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জাহাজগুলিকে। গভীর সমুদ্র-বন্দর তৈরি হলে এ বার বড় জাহাজও পণ্য তুলতে-নামাতে পারবে।
|
কলেজে নিয়োগের ইন্টারভিউ হবে জুনে |
কলেজের শিক্ষক ও গ্রন্থাগারিক পদে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কলেজ সার্ভিস কমিশন বা সিএসসি-র ইন্টারভিউ শুরু হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে। কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বৃহস্পতিবার এ কথা জানান। ২০১০-এর পরে এত দিনে ফের ইন্টারভিউ হতে চলেছে। ইন্টারভিউ নেবেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের মনোনীত এবং আচার্য মনোনীত বিশেষজ্ঞেরা। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ করার জন্য ইন্টারভিউ বোর্ডে যথাসম্ভব বেশি বিশেষজ্ঞ রাখা হবে। কিছু বিষয় দু’-একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। সে-ক্ষেত্রে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আচার্য মনোনীত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সঙ্গে কমিশন মনোনীত বিশেষজ্ঞও রাখা হবে।” ইন্টারভিউয়ের অন্তত ১৪ দিন আগে প্রার্থীদের এসএমএস করে তা জানানো হবে। ইন্টারভিউয়ের সময় এবং অন্যান্য তথ্য জানানো হবে কমিশনের ওয়েবসাইটে।
|
মাদ্রাসায় নিয়োগে বাধা মামলা |
এক বছর আগে চূড়ান্ত প্রার্থী-তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রার্থীদের কে কোথায় কাজে যোগ দেবেন, তা-ও ঠিক হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্র না-মেলায় বিভিন্ন মাদ্রাসার করণিক ও গ্রন্থাগারিক পদের জন্য বাছাই করা প্রার্থীরা কাজে যোগ দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ। প্রার্থীদের অভিযোগ, কমিশন এবং একাধিক নেতা-মন্ত্রী, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও সমস্যা মেটেনি। যদিও কমিশনের আশ্বাস, দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক মামলা চলছে। সেগুলি মিটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব সুপারিশপত্র দেওয়ার কাজ শুরু হবে।”
|
আগামী ১০ জুন শেষ হচ্ছে পঞ্চায়েতের মেয়াদ। সেই সময়ের মধ্যে ভোট করা যাবে কি? জবাব পাওয়ার জন্য আজ, শুক্রবার হাইকোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে। প্রশ্ন উঠেছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আবেদন মেনে কি শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করানোর কথা বলবে হাইকোর্ট? তাই যদি হয়, তা হলে কি উচ্চ আদালতের সেই রায় মেনে নেবে রাজ্য, নাকি ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানাবে তারা? এখন যা পরিস্থিতি তাতে কোনও পক্ষ যদি শুক্রবারের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করে, তা হলে নির্ধারিত সময়ে পঞ্চায়েত ভোটের সম্ভাবনা জোর ধাক্কা খাবে।
|