|
|
|
|
লগ্নি সংস্থার একাধিক এজেন্ট-কর্মী গ্রেফতার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
টাকা ফেরত না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন ডায়মন্ড হারবারের একটি লগ্নি সংস্থার কিছু আমানতকারী। বুধবার ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ‘টাওয়ার ইনফোটেক’ নামে লগ্নি সংস্থাটির ৮ এজেন্ট-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মহকুমা আদালতের বিচারক সকলকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন।
শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহারের আমানতকারীদের কাছ থেকে একাধিক লগ্নি সংস্থা প্রায় ২০০ কোটি টাকা তুলে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। সারদা-সহ একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বহু অভিযোগ জমা পড়েছে অন্য জেলাগুলির একাধিক থানায়। টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ধরপাকড়ও চলছে।
শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ বলেন, “অ্যানেক্স গ্রুপের কর্তা প্রসেনজিৎ মজুমদার-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি সংস্থার অফিস সিল করা হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে। আরও কিছু তথ্য হাতে এসেছে।”
অন্য দিকে, সারদার এক এজেন্টের বিরুদ্ধে মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন এক আমানতকারী। বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন থানায় দায়ের করা অভিযোগে পঞ্চানন দাস নামে ওই আমানতকারী জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তিনি ওই এজেন্টের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা জমা করেন। সাত বছর পরে ১ লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সারদা গোষ্ঠীর ভরাডুবির পরে টাকা ফেরত চাইতে গেলে ওই এজেন্ট তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। মারধরের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানায়, অভিযোগটি আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এজেন্ট বেপাত্তা।
লগ্নি সংস্থাগুলি নিয়ে রাজ্য জুড়ে ডামাডোল চললেও রোজ ভ্যালীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর শিবময় দত্তের দাবি, গত এক সপ্তাহে তাঁদের সংস্থায় নতুন আমানত আসছে। কিছু মানুষ টাকা তুলে নিতে চেয়ে সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁদের মূল আমানত ফিরিয়েও দেওয়া হচ্ছে। তাঁদেরই কয়েক গত বুধবার সংস্থার রানিগঞ্জ অফিসে চেক ফেরত দিয়ে গিয়েছেন। যা রোজ ভ্যালীর প্রতি আমানতকারীদের আস্থার প্রকাশ বলেই শিবময়বাবুর দাবি। |
|
|
|
|
|