বনগাঁর নরহরিপুর সারদাচরণ বিদ্যাপীঠের চতুর্থশ্রেণির কর্মী বাসুদেব সাহাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে নদিয়ার চাকদহ থেকে তাকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ভরত বিশ্বাস সম্পর্কে বাসুদেববাবুর শ্যালক। জেরায় সে খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ দাবি। প্রসঙ্গত, গত গত ২ মে স্কুল থেকে সাইকেলে বাড়ি ফেরার পতে খুন হন বাসুদেব। খুনের পর তাঁর স্ত্রী শঙ্করীদেবী তাঁর দুই দাদা-সহ ৬ জদনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যার মধ্যে ভরতের নামও ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরত বাসুদেবকে খুন করার জন্য ভাড়াটে খুনির সাহায্য নিয়েছিল। এ জন্য সে ধার-দেনা করে ৭০ হাজার টাকা ওই খুনিদের দেয়। কিন্তু কেন সে ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজের জামাইবাবুকে খুন করতে গেল? তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন ভরতের মায়ের যে সম্পত্তি ছিল তিনি তা তাঁর মেয়ে অর্থাৎ বাসুদেববাবুর স্ত্রীকে দিয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি নিজের শ্বশুরমশাইয়ের সম্পত্তির ভাগের ব্যাপারেও বাসুদেববাবু স্ত্রীকে দিয়ে মামলা করিয়েছিলেন। যা মেনে নিতে পারেনি ভরত। এ নিয়ে অশান্তি ছিল।
পুলিশের বক্তব্য, জেরায় ভরত আরও জানিয়েছে, বাসুদেবকে খুনের জন্য দুষ্কৃতীরা প্রথমে তার কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। পাশাপাশি তারা এও জানায় তাকে খুন করতেও বাসুদেব ভাড়াটে খুনি লাগিয়েছে। এরপরেই ভরত ওই কাজ করে। বাসুদেব খুন হওয়ার সে উত্তরপ্রদেশে পালিয়ে যায়। বুধবারই সে ভবানীপুরে তার বাড়িতে ফিরেছিল। খুনের ঘটনার পর রাজ্য ও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা বনগাঁয় আসেন। তাঁদের কাছে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তার পর থেকে এ পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১টি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার হয়েছে আট দুষ্কৃতী। বাসুদেব খুনের ঘটনায় এখনও পর্যৗন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|