বুধবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে চাষের ক্ষতি হল হাঁসখালি ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেতনা-গোবিন্দপুর, দক্ষিণপাড়া-১ ও দক্ষিণপাড়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশাপাশি মামজোয়ান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বুধবার রাতের বৃষ্টিতে বিঘার পর বিঘা জমির ধান, পাট, তিল, সাবু ও কলা চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে আটটা থেকে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে। জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতে প্রায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চারটি পঞ্চায়েত এলাকায় তিনশো হেক্টর জমিতে বোরো ধান, চারশো হেক্টর জমিতে পাট, ৩০ হেক্টর জমিতে কলা চাষের ক্ষতি হয়েছে। রাতে তেমন বোঝা না গেলেও সকাল হতেই মাথায় হাত পড়ে যায় চাষিদের। দক্ষিণপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তৃণমূলের মদনমোহন বিশ্বাস বলেন, “প্রায় ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধান আর দু’ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছিলাম। গতকালের শিলাবৃষ্টিতে চাষের প্রায় ৭৫ শতাংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।”
অবস্থা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যান অতিরিক্ত জেলাশাসক, রানাঘাটের মহকুমাশাসক ও মহকুমা কৃষি আধিকারিক। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন। রানাঘাট মহকুমা কৃষি আধিকারিক রঞ্জন রায় চৌধুরী বলেন, “বুধবার রাতের শিলাবৃষ্টিতে হাঁসখালি ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি মৌজায় চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করে প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়েছে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক উৎপল ভদ্র বলেন, “বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিদের কীভাবে সাহায্য করা যায়, তার চিন্তা-ভাবনা শুরু করা হয়েছে।” |