তাঁর হাত ধরেই এ বার প্রায় তারকাহীন দল নিয়ে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চার্চিল ব্রাদার্স। তা সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে পরের মরসুমে সুভাষ ভৌমিকের চার্চিলে থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে জমাট ধোঁয়াশা!
রবিবার আই লিগের শেষ ম্যাচ খেলার পর কলকাতায় ফিরে আসছেন সুভাষ। চার্চিল প্রধান আলেমাওয়ের সঙ্গে তাঁর এখনও কোনও কথা হয়নি। সুভাষ থাকবেন কি না, তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে চার্চিল শিবিরও। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, সুভাষ নাকি চার্চিল ছেড়ে কর্পোরেট কোনও একটি দলের দায়িত্ব নিতে পারেন। চার্চিলের বর্তমান টিডি অবশ্য পুরো বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছেন। কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁর কাছে পাওয়া যাচ্ছে একটাই জবাব— “আমার ভূতও নেই, ভবিষ্যৎও নেই।”
দু’দিন আগে আলেমাও বলেছিলেন, “আমরা সুভাষকেই কোচ রাখতে চাই। তবে উনি নিজে না থাকতে চাইলে সেটা আলাদা ব্যাপার।” বৃহস্পতিবার অবশ্য চার্চিল প্রধানকে গোয়ায় ফোনে ধরা হলে তাঁর গলায় অন্য সুর। বলে দিলেন, “সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে আমার পরের মরসুমের ব্যাপারে কোনও কথা হয়নি। উনি কী করবেন জানি না। তবে আমাদের হাতে অনেক নতুন কোচের বায়োডাটা আছে। ইতালি, মরক্কোর, এমনকী এ দেশের কয়েক জন কোচেরও। তবে এখনও কিছু চূড়ান্ত করিনি।”
এ দিকে, ইস্টবেঙ্গল পরের মরসুমের জন্য পাকা করে নিল চিডি-কে। তবে ওপারা এবং পেনের সঙ্গে এখনও আলোচনাতেই বসেননি লাল-হলুদ কর্তারা। প্রয়াগের এই মুহূর্তের পরিস্থিতির কারণে ইউনাইটেড স্পোর্টসের র্যান্টির সঙ্গে নতুন করে কথাবার্তা শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল। র্যান্টি অবশ্য প্রয়াগের দিকেই তাকিয়ে। তবে তাঁকে খুব বেশি টাকার প্রস্তাব দেওয়া ইস্টবেঙ্গলের পক্ষেও সম্ভব হচ্ছে না। তবে আই লিগে যদি বিদেশি খেলানোর সংখ্যা তিন থেকে চার হয়, সেটা ভেবেই র্যান্টির সঙ্গে কথা বলেছে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান স্পোর্টিংয়ের মিডফিল্ডার আদিল খানকে পাকা করে নিল। মহমেডান সই করাল ওএনজিসির সন্দীপ সাঙ্ঘা ও এয়ার ইন্ডিয়ার সুখবিন্দর সিংহ-কে। |