|
|
|
|
ছড়িয়ে নানা দফতর, নিত্য সমস্যা ব্লক অফিসে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সাধারণত ব্লক সদরে একই চত্বরে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের অফিস থাকার কথা। কিন্তু খড়্গপুর ১ ব্লকে তা নেই। বিডিও অফিস রয়েছে এক জায়গায়। ব্লক কৃষি আধিকারিকের অফিস আর এক জায়গায়। আবার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অফিস রয়েছে অন্য জায়গায়। বিভিন্ন অফিস ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকায় সাধারণ মানুষও সমস্যায় পড়ছেন। তাঁরা কাজ হাতে নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরছেন। সমস্যার কথা মানছে ব্লক প্রশাসনও। তারা জানিয়েছে, ব্লক সদরের আশপাশে অন্য অফিসগুলো নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে। বিডিও সুভেশ বেরার কথায়, “যে সব দফতর দূরে রয়েছে, সেগুলোকে ব্লক সদরের কাছাকাছি জায়গায় নিয়ে আসা হবে। এ জন্য জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।” ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, আগে চিহ্নিত জায়গার চারপাশে সীমানা পাঁচিল তৈরি হবে। এ জন্য ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে।
খড়্গপুর ১ ব্লকের সদর সতকুই। এখানেই রয়েছে বিডিও অফিস। রয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অফিস-সহ আরও কিছু দফতর। কিন্তু কৃষি বা ভূমি দফতরের ব্লক অফিস এখানে নেই। অথচ দু’টি দফতরই গুরুত্বপূর্ণ। কৃষি দফতর রয়েছে ইন্দায়। আর ভূমি আধিকারিকের দফতর রূপনারায়ণপুরে। দু’টি অফিসই চলে ভাড়া বাড়িতে। আরও কিছু দফতরও এ ভাবেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। ফলে সমস্যা হয়। সোমবারই এক কৃষক একটি সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে বিডিও’র দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দুপুরে তিনি বিডিও’র সঙ্গে দেখা করেন। একটি বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিডিও বলেন, বিষয়টি ব্লক কৃষি আধিকারিককে জানানো যেতে পারে। কিন্তু ব্লক কৃষি আধিকারিকের অফিস সেই ইন্দায়। ভরদুপুরে আর সেখানে না গিয়ে বাড়ি রওনা দেন ওই কৃষক। ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অফিসগুলো ব্লক সদরের আশপাশে নিয়ে এলে এমন ভোগান্তি আর হবে না।”
অবশেষে সব দফতর এক এলাকায় আনার তৎপরতা শুরু হয়েছে। ব্লক সদরে বিডিওর আবাসন নেই। আছে মেদিনীপুরে। জানা গিয়েছে, সতকুইয়ের কিছু দূরে রুইসণ্ডা মৌজায় প্রায় ৪৫ ডেসিমেল সরকারি জমি রয়েছে। এখানেই কৃষি এবং ভূমি দফতরের ব্লক অফিস তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। সতকুইয়ে বিডিওর আবাসনের জন্যও একটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|