পলিটব্যুরোয় গেল কেরলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব |
সিপিএমে কেরলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিতে চলেছে। কাল থেকে শুরু তিন দিনের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ফের ভি এস অচ্যুতানন্দন ও পিনারাই বিজয়নের বিরোধ ছায়া ফেলতে চলেছে। অচ্যুতানন্দনকে কেরলের বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানোর প্রস্তাব পাশ করেছে বিজয়নের নেতৃত্বাধীন রাজ্য কমিটি। কিন্তু পলিটব্যুরো তাতে সিলমোহর বসায়নি। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটির গত বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। কিন্তু দিল্লিতে তা নিয়ে সরব হতে চান বিজয়ন। আজ সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটকে এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর যুক্তি, অচ্যুতানন্দন দলের নির্দেশ মেনে চলছেন না। পলিটব্যুরো নেতা সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য, “এখনও বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে নেই। যদি কেউ তোলেন, ভেবে দেখা হবে।” অচ্যুতানন্দন নিজেও রাজ্য সম্পাদক পিনারাই বিজয়নের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। দল-বিরোধী কাজের জন্য অচ্যুতানন্দনের ব্যক্তিগত সহকারীদের আগেই সরিয়ে দিয়েছিলেন বিজয়ন। অচ্যুতানন্দনের উপর চাপ বাড়াতে দলের গণসংগঠনের অনুষ্ঠানেও ইদানিং তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
|
জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অবরোধ |
মখ্যমন্ত্রীর প্রশ্রয়েই গুয়াহাটি এবং সংলগ্ন এলাকার কৃষিজমি দখল করছে জমি মাফিয়ারাএমনই অভিযোগ তুললেন কৃষক নেতা অখিল গগৈ। এ দিন জমি পাট্টার দাবি ও জমি মাফিয়াদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাজধানীতে পথ অবরোধ করে ‘কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি’। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ ওঠে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার দশেক মানুষ ওই বিক্ষোভে সামিল হন। অবরোধের জেরে পানবাজার, আমবাড়ির রাস্তায় যানচলাচল ব্যাহত হয়। অখিল গগৈ অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ জমি মাফিয়ারা অবৈধ ভাবে কৃষিজমি দখল করছে। সিমেন্টের বস্তার দাম বাড়িয়ে বিক্রিও করছে। এ ভাবে বছরে ১৮১ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে ওই জমি মাফিয়ারা।
|
মেঘালয়ের প্রত্যন্ত এলাকার একটি গ্রামে মা এবং মেয়ের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বছর সাতাশের ওই মেয়েটিকে ধর্ষণের পর ভারী কোনও জিনিস দিয়ে থেঁতলে খুন করেছে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ী। বাধা দিতে গেলে খুন করা হয় তাঁর মা-কেও। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের নাম রিমায়া রিম্বাই (৬৮) এবং হামিও সান্তা রিম্বাই (২৭)। তাঁরা পশ্চিম জয়ন্তিয়া হিল জেলার উমসালাইট গ্রামে থাকতেন। সান্তার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাই বছর ছয়েকের ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই ছিলেন সান্তা। গতকাল তাঁর ছেলে প্রতিবেশিদের জানায়, তাঁর দিদিমা এবং মা’র মৃত্যুর খবর দেয়। দেহদু’টি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
|
শিলচরে ধরা পড়ল মাওবাদী নেতা অনুকূলচন্দ্র নস্কর ওরফে পরেশদা। গতকাল সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল শহরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, ৬৫ বছরের পরেশদার আদি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। তিনি ১৯৬৭ সালে মাওবাদী সংগঠনে যোগ দেন। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন ১৯৮৫ সালে। ২০০৪ সালে হন মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুর, অরুণাচল প্রদেশে মাও আদর্শ প্রচার করাই তাঁর দায়িত্ব ছিল। |