সরকারি সঞ্চয় প্রকল্প কেন, প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস-বিজেপি
রাজ্য সরকারের ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের প্রস্তাবের সমালোচনা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। সারদা-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে লগ্নি সংস্থার হাতে সাধারণ মানুষের প্রতারণা রুখতে রাজ্য সরকার এ বার নিজেই একটি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা ভাবছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার জানিয়েছেন।
কিন্তু সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রদীপবাবু বলেন, “আমরা সরকারের এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছি। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মানুষের মতামত নিয়ে প্রকল্প গড়ার কথা বলেছেন তা এক কথায় অবাস্তব এবং আমরা মনে করি বেসরকারি চিট ফান্ডের বদলে সরকারি চিট ফান্ড গড়ে ওঠার আশঙ্কা করছি।”
প্রদীপবাবুরা তাঁদের মতামত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরকারকে জানিয়ে দেবেন। কারণ, এই ব্যাপারে রাজ্যের অর্থ দফতর একটা ওয়েবসাইট তৈরি করছে। সেখানেই মানুষ তাদের মতামত জানাবে। কিন্তু প্রদীপবাবুর বক্তব্য, “বেসরকারি চিট ফান্ডের রমরমা রুখতে বিকল্প কী ব্যবস্থা করা দরকার সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উচিত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, অভিজ্ঞ শিল্পপতিদের সঙ্গে আলোচনা করা।”
তা ছাড়া প্রদীপবাবু মনে করেন, রাজ্যের কোনও প্রত্যন্ত প্রান্তের মানুষের পক্ষে ওয়েবসাইটে মতামত জানানোও সম্ভব নয়। তাঁর প্রশ্ন, “সরকার যে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্পের কথা ভাবছে, সেখানে কোথায় টাকা রাখবে বা কোথায় সেই টাকা বিনিয়োগ করা হবে অথবা সরকার কি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি নিয়েছে কি?” সারদা-কাণ্ডের থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘেরাতেই সরকার ক্ষুদ্র সঞ্চয় চালু করার কথা বলেছে বলে প্রদীপবাবু অভিযোগ তুলেছেন।
কংগ্রেসের মতোই বিজেপিরও আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্প চালু হলে রাজ্যে সারদা-কাণ্ডের চেয়েও বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি হবে। দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ এ দিন কোচবিহারে বলেন, “রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প চালু হলে রাজ্যে সারদা-কাণ্ডের চেয়েও বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির রাস্তা তৈরি হবে।” তিনি জানান, প্রচুর আর্থিক দেনায় সরকার ডুবে রয়েছে। ফলে কোনওভাবেই ডাকঘর বা ব্যাঙ্কের থেকে বেশি সুদ সরকারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হবে না। এতে আখেরে রাজ্য সরকারের ওপর ঋণের বোঝা বাড়বে। আর কেন্দ্রীয় আইন অনুযায়ী রাজ্য সরকার স্বল্প সঞ্চয়ের প্রকল্প চালু করতে পারে না।
বস্তুত মুখ্যমন্ত্রী বুধবার মহাকরণে সরকারি ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের কথা জানানোর পরেই নানা প্রশ্ন ওঠে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে প্রশ্ন করায় তিনি বলেছিলেন, “সব প্রশ্নের জবাব আমাদের ওয়েবসাইটে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন, এটা একেবারে ভাবনা চিন্তার স্তরে রয়েছে। কোনও কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি।” কিন্তু এ দিন কংগ্রেস এবং বিজেপি যে সমালোচনা করেছে সেই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানার জন্য অমিতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর মতামত জানা যায়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.