কথা, কবিতা, নৃত্য, গান ও নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার সাড়ম্বরে পালিত হল রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। সারা রাজ্যের পাশাপাশি বিশ্বভারতী থেকে শুরু করে বীরভূম জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে দিনটি পালিত হয়। তবে রামপুরহাট ১ ব্লক অফিসের সামনে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিতে মাল্যদান করা তো দূরের কথা, মূর্তি পরিষ্কার করা হয়নি। বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “আসলে রামপুরহাট পুরসভার মুক্তমঞ্চে রাজ্য সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান চলছে। সেখানে যাওয়ার জন্য ব্লক অফিসে রবীন্দ্রনাথের মূর্তির প্রতি ঠিক খেয়াল করা হয়নি। ভুল গয়ে গিয়েছে।”
এ দিন ২৫শে বৈশাখ দিনটিতে আমোদপুর জয়দুর্গা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প অবলম্বনে ‘অতিথি’ নাটকটি পরিবেশন করে। |
নাট্যরূপ ও নির্দেশনা করেছেন স্থানীয় শিল্পী অশোক দাস। লাভপুরের সাংস্কৃতিক বাহিনী ‘লোকায়ত রবীন্দ্রনাথ’ বিষয়ক একটি গীতি আলেখ্য পরিবেশন করে বিশিষ্ট বাউল কার্তিক দাসের পরিচালনায়। সিউড়ির রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণে এ দিন সকাল সাতটা থেকে রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠান হয়। আয়োজক শহরেরই অলঙ্কার সঙ্গীত বিদ্যালয়। সিউড়ির সিধু কানহু মঞ্চে রবীন্দ্রজন্মোৎসবে যোগদানকারী বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হাতে রবীন্দ্রনাথের বই উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়।
এ ছাড়াও সাঁইথিয়ার মেঘদূত মঞ্চে, দুবরাজপুরের লোকমঞ্চে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। এরই পাশাপাশি দুবরাজপুরের বালিজুড়ি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ওই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ধ্রুব চট্টরাজকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মলয় ভট্টাচার্য বলেন, “চল্লিশ বছর ধরে নিজের দায়িত্বে অবিচল।” |