বর্ধমানের নানা জায়গায় রবীন্দ্রজয়ন্তী পালিত হল বৃহস্পতিবার। এই উপলক্ষে ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল কালনার ধাত্রীগ্রাম সাহিত্যপ্রেমী মঞ্চের তরফে। ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা কবিতা পাঠ ও তাঁর জীবন নিয়ে আলোচনাও। হুগলির জিরাট কলেজের অধ্যাপক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কালনা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শান্তি চাল-সহ অনেকেই এ দিন উপস্থিত ছিলেন। কালনা শহরের রবীন্দ্রসদন কমিটি গান, আবৃত্তি, রবীন্দ্র স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করে। ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ কুণ্ডু, ভাইস চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ বাগ। |
পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রভাতফেরির মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা করে মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। এ ছাড়াও ছিল রবীন্দ্র স্মৃতিতে মাল্যদান এবং আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, কুটির, ভূমি ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী ,স্বপন দেবনাথ এবং মহকুমা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক শেলী মৈত্র। সরকারি এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতা করেন পল্লীবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে একটি সংস্থা। সন্ধ্যায় মহারাজা উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল রবীন্দ্রসন্ধ্যার আয়োজন। |
এ দিন দুর্গাপুরে কুমারমঙ্গলম পার্কে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন সকাল ৭টা থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ‘ছড়াক্কা’ নামে এক পত্রিকা ও ‘নৃত্যবৃত্তি বাতায়ন’ নামে এক সংস্থার উদ্যোগে শহরে প্রভাতফেরীর আয়োজন হয়। ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানও। কাঁকসায় দোমড়া রামকৃষ্ণ আশ্রমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। ছিলেন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মানন্দ। মানকরের রাইপুরে রামকৃষ্ণ শিক্ষায়তনেও অনুষ্ঠান হয়। কাঁকসার গোপালপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দুর্গাপুর পুরসভা ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে শহরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠান হয়। একই রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসস্ট্যান্ডেও। |