সকাল থেকেই রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হল আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে। বৃহস্পতিবার থেকে পাঁচ দিন ধরে শহরের নানা জায়গায় রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে উদ্যোগী হয়েছে আসানসোল পুরসভা। এ দিন রবীন্দ্রভবন লাগোয়া রবীন্দ্রমূর্তিতে মাল্যদান করেন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টেরা। বার্নপুর ও কন্যাপুর এলাকায় ভারতীয় গণনাট্যের উদ্যোগে সারাদিন ধরে গান, কবিতা, আবৃত্তিতে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন এলাকায় নানা সংগঠনের উদ্যোগে দিনটি উদযাপিত হয়। |
কুলটির মিঠানি চৌরঙ্গি রিক্রেশন ক্লাবের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। নিউ আপার চেলিডাঙা অ্যাথলেটিক ক্লাব, চিত্তরঞ্জনের সুরঞ্জনা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী এবং জামুড়িয়ার মণ্ডলপুর সাংস্কৃতিক পর্ষদের পক্ষেও এ দিন প্রভাতফেরি, নাচ, গান, আবৃত্তির আয়োজন করা হয়। রানিগঞ্জের রানিসায়র, জামুড়িয়ার চিচুড়িয়ায় আরএন কলোনির রবীন্দ্র-নজরুল মঞ্চে, চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ইনস্টিটিউটে ‘সুরঞ্জনা’ গোষ্ঠীর তরফে অনুষ্ঠান করা হয়।
এ দিন দুর্গাপুরে কুমারমঙ্গলম পার্কে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলন সকাল ৭টা থেকে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। |
‘ছড়াক্কা’ নামে এক পত্রিকা ও ‘নৃত্যবৃত্তি বাতায়ন’ নামে এক সংস্থার উদ্যোগে শহরে প্রভাতফেরীর আয়োজন হয়। ছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানও। কাঁকসায় দোমড়া রামকৃষ্ণ আশ্রমে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। ছিলেন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী আত্মানন্দ। মানকরের রাইপুরে রামকৃষ্ণ শিক্ষায়তনেও অনুষ্ঠান হয়। কাঁকসার গোপালপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। দুর্গাপুর পুরসভা ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে শহরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠান হয়। একই রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসস্ট্যান্ডেও। |