১০০ দিনের কাজ সহ একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধার বিষয়ে জেলাবাসীকে সচেতন করতে আসরে নেমেছে মালদহ জেলা প্রশাসন। তাতে সামিল হয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও নারী এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রও। দুজনেই জেলার বিধায়ক। দুই মন্ত্রীকে সামনে রেখেই মালদহের জেলাশাসক এখন লাগাতার প্রচার, কর্মশালার মাধ্যমে জেলার প্রশাসনিক অফিসার-কর্মীদের উদ্দীপিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মঙ্গলবারও মালদহে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি এবং অফিসারদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে জেলায় ১০০ দিনের কাজের ঘাটতি পূরণ করতে একগুচ্ছ কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে। পাশাপাশি, আজ, বুধবার থেকে ‘আপনার সরকার, আপনার অধিকার’ শিরোনামে জেলার ১৪৬ গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা এলাকায় জনসংযোগ শিবির চালু করছে জেলা প্রশাসন। হবিবপুরে প্রথম জনসংযোগ শিবিরের উদ্বোধনে থাকবেন দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র।
মালদহের জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “সম্প্রতি ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে জেলার বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আমরা রাজ্য সরকারের নির্দেশে খোঁজখবর করে দেখেছি, অনেক শ্রমিক রাজ্য সরকার যে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয় তা জানেন না। সে জন্য জনসংযোগ শিবির করা হবে। আগামী ২৮ মে পর্যন্ত শিবির চলবে।” তিনি জানান, শিবিরে সাধারণ মানুষের সরকারি প্রকল্প সংক্রান্ত কোনও সমস্যা, অভিযোগ থাকলে তা নথিভুক্ত করা হবে। এর পরে জেলা স্তরের বৈঠকে তা পেশ করে পরিকল্পনা তৈরি করা হবে বলে জেলাশাসক জানান।
এদিন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী কর্মশালার উদ্বোধন করেন। সেখানে তিনি জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকদের সতর্ক করে বলেন, “১০০ দিনের যতটা কাজ করবেন ততটুকু বিল করুন। কাজ হল না অথচ মাটি কাটার বিল হল। এটা যদি হয় তবে কাউকে ছাড়া হবে না। শাসক দলের কেউ হলেও ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে কাগজপত্র ‘অ্যান্টি করাপশন সেলে’ পাঠানো হবে।”
মালদহ জেলা পরিষদের কংগ্রেস সভাধিপতি উজ্জল চৌধুরী বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতের অনীহার জন্যই মালদহে ১০০ দিনের কাজ পিছিয়ে পড়েছে। পাশাপশি আমাদেরও কিছু দুবর্লতা ছিল। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে গ্রামের মানুষদের যেভাবে সচেতন করা উচিত ছিল সেটা আমরা করতে পারিনি। ১০০ দিনের কাজের ব্যাপারে প্রশাসন যে ভাবে এগিয়ে এসেছে সেই ভাবে প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা পাইনি। ফলে জব কর্ড হোল্ডারদের কাজএ দিতে পারিনি।”
দুর্ঘটনা এড়াতে বৈঠক। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তার সংস্কার করা নিয়ে বৈঠক করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। মঙ্গলবার দুপুরে ইসলামপুরে এসডিও দফতরের বিবেকানন্দ সভাগৃহে ওই বৈঠক হয়। সম্প্রতি ইসলামপুর শহরের কেএমসি এলাকাতে সাইকেলে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সারবান যাদব নামে এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রের। ঘটনার জেরে এলাকার বাসিন্দারা ৩ ঘণ্টা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিও ওঠে। মহকুমাশাসক সমনজিৎ সেনগুপ্ত এই দিন বলেন, “খুব দ্রুত বাইপাসের কাজ করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। শহরের বুক চিরে যাওয়া ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক নিয়েও বেশ কিছু প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।” |